পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা বসতি সরাতে অভিযান
Published: 30th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় কেটে নতুন গড়ে ওঠা রোহিঙ্গাদের বসতি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া পাহাড়ি এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও থানা পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্বে দেন টেকনাফের ২৫ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান।
ক্যাম্পের ইনচার্জ বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে আসা কিছু রোহিঙ্গা ঘর তৈরি করে বসবাস করছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পাহাড় ধসের শঙ্কা আছে। তাই ঝুঁকি বিবেচনা করে আমরা উচ্ছেদ অভিযান করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের এখান থেকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে। খুব তাড়াতাড়ি তাদের দেওয়া হবে বসবাসের উপযোগী জায়গা। এ অভিযান এক দিনে শেষ হবে না। তবে ঝুঁকিপূর্ণ যেসব বসতি রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
কথা হয় হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় বসতি স্থাপনকারী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মো.
হ্নীলার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, এখানে বিশাল পাহাড়ি অঞ্চলে বেশির ভাগ জায়গায় রোহিঙ্গারা বসবাস করে। যৌথ অভিযানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যেহেতু আশ্রয়হীন মানুষ; তাদের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বাস ও পোশাকে ছিল স্বর্ণ, যাত্রী আটক
অভিনব কৌশলেও কাজ হলো না। স্বর্ণসহ ধরা পড়লেন আলীম উদ্দিন (৪০) নামের সিলেটের গোয়াইনঘাটের বাসিন্দা এক বিমান যাত্রী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে আটক করে।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী আলীম উদ্দিন ঢাকায় অবতরণের টিকিট করেছিলেন। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস ও এনএসআই সদস্যরা বিমানের ভেতর থেকে তাঁকে বের করে আনেন। স্ক্যানারে তারা নিশ্চিত হন, যাত্রীর পরনের অন্তর্বাস থেকে শুরু করে গেঞ্জিসহ পরিহিত পোশাকে ছিল স্বর্ণের প্রলেপ। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পরিধেয় কাপড় পুড়িয়ে স্বর্ণের অস্তিত্ব পান। জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রীটিও বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় আলীমের পরা চারটি অন্তর্বাস, দুটি গেঞ্জি, একটি শার্ট, প্যান্টসহ আটটি কাপড় জব্দ করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিধেয় একাধিক কাপড়ে মেলে স্বর্ণের অস্তিত্ব। পরে এগুলো জব্দ করা হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ চোখে বিষয়টি বোঝার উপায় ছিল না। স্বর্ণ গলিয়ে কাপড়ে লেপে দেওয়া হয়েছিল। স্ক্যানারে পরীক্ষার পর বিষয়টি ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার আরেক কর্মকর্তা জানান, আলীমের সঙ্গে একই বিমানে আরেকজন স্বর্ণ চোরাচালানকারী ছিলেন। তাঁকে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে।
সিলেট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগ) ইনজামাম উল হক বলেন, আলীম উদ্দিনের পরা কাপড়গুলো পুড়িয়ে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হবে। কাপড় না পোড়ানো পর্যন্ত স্বর্ণের পরিমাণ জানা যাবে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিধেয় কাপড়ে প্রায় এক কেজি স্বর্ণ তিনি এনেছেন। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।