কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় কেটে নতুন গড়ে ওঠা রোহিঙ্গাদের বসতি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া পাহাড়ি এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও থানা পুলিশ।

অভিযানে নেতৃত্বে দেন টেকনাফের ২৫ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান। 

ক্যাম্পের ইনচার্জ বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে আসা কিছু রোহিঙ্গা ঘর তৈরি করে বসবাস করছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পাহাড় ধসের শঙ্কা আছে। তাই ঝুঁকি বিবেচনা করে আমরা উচ্ছেদ অভিযান করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের এখান থেকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে। খুব তাড়াতাড়ি তাদের দেওয়া হবে বসবাসের উপযোগী জায়গা। এ অভিযান এক দিনে শেষ হবে না। তবে ঝুঁকিপূর্ণ যেসব বসতি রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।

কথা হয় হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় বসতি স্থাপনকারী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মো.

হারুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রাণে বাঁচতে পাঁচ মাস আগে রাখাইন থেকে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছি। অনেক দিন ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘুরে জায়গা না পেয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু এখান থেকেও আমাদের সরিয়ে দিচ্ছে। আমরা এখন যাব কোথায়?

হ্নীলার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী  বলেন, এখানে বিশাল পাহাড়ি অঞ্চলে বেশির ভাগ জায়গায় রোহিঙ্গারা বসবাস করে। যৌথ অভিযানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যেহেতু আশ্রয়হীন মানুষ; তাদের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ