আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
Published: 29th, January 2025 GMT
রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন থেকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
গতকাল বুধবার আদালত চত্বরে গিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় নির্বাচন বাতিল না করলে বার কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আজ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বাচ্চু-হাকিম-রাজ্জাক প্যানেলে বিএনপিপন্থি ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা রয়েছেন। সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে আনিছ-সাত্তার-রোকন প্যানেলে রয়েছেন আওয়ামীপন্থি ও সাধারণ আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা।
গতকাল দুপুরে রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আওয়ামীপন্থি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বহিষ্কার ও নির্বাচন বাতিল করতে ব্যবস্থা গ্রহণের আলটিমেটাম দেন। নির্বাচন বাতিল করা না হলে বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যালয় বন্ধ করার ঘোষণা দেন তারা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী অশোক কুমার সাহা বলেন, আন্দোলনকারীরা বলছে– কোনো ফ্যাসিবাদ যেন নির্বাচন না করে। আমাদের আইনজীবীদের নির্বাচনে ফ্যাসিবাদের কোনো বিষয় নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা