Samakal:
2025-03-03@20:10:26 GMT

সমিতির ফাঁদে সর্বস্বান্ত

Published: 29th, January 2025 GMT

সমিতির ফাঁদে সর্বস্বান্ত

তাড়াশে সমিতির খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক মল্লিক। পরিবার নিয়ে এখন তিনি দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তালম ইউনিয়নের নামাসিলট গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক মল্লিকের সঙ্গে খোশালপুর সার্বিক ‘গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি’র সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ ও কোষাধ্যক্ষ শফিউল্লাহ্‌র পরিচয় হয়। ২০২১ সালে তারা আবু বক্করকে প্রতিদিন লাখে দুইশ করে টাকা করে লাভ দেওয়ার কথা বলে সমিতিতে টাকা বিনিয়োগের কথা বলেন। অতিরিক্ত লাভে সংসারে সচ্ছলতা আসবে ভেবে আবু বক্কর ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেন। বিভিন্ন ব্যাংক-এনজিও থেকে নিজের ও স্ত্রীর নামে ঋণ নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় ১৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। প্রথম কয়েক মাসে লাভের কিছু টাকা পেয়েছেন। এরপর একসঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাভের টাকা দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

আবু বক্কর জানান, বিনিয়োগ করা টাকা তুলে দিতে সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ অন্যদের অনুরোধ করেন তিনি। এতে কাজ না হলে সমিতির ঘরে নামাসিলট গ্রামের আলহাজ আমিনুল ইসলাম, মতিউর ইসলাম, মর্তুজা সরকার, খোশালপুর গ্রামের ফারুক ফকিরসহ গ্রামপ্রধানদের নিয়ে সালিশ করা হয়। সে সালিশে গ্রামপ্রধানরা টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেন। তারা তা মানেননি। উল্টো বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি-হুমকি দিচ্ছেন তারা। বাধ্য হয়ে তিনি ৪ জানুয়ারি তাড়াশ থানায় মামলা করেছেন।

থানার এসআই সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বলেন, সমিতিতে আবু বক্করের মতো অনেকেই টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিছু পরিশোধও করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে দেওয়া ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা তুলতে না পারায় আবু বক্করের টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। সমিতি করে এভাবে টাকা বিনিয়োগ করা বৈধ কিনা এমন প্রশ্নে আবু সাইদ বলেন, দেখা করেন, কথা হবে।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ব ন য় গ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

নকল করায় নোবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সেমিস্টার পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) চার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ফার্মেসি  বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শ্রাবণ দাস, ফার্মেসি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান রিয়াদ, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গোলাম সারওয়ার এবং কৃষি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. আশিক ইকবাল আদর।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের সভার সিদ্ধান্তক্রমে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের টার্ম পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ফার্মেসি  বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শ্রাবণ দাসকে নকলের উপাদান সঙ্গে রাখা ও তা থেকে দেখে লেখার কারণে সংশ্লিষ্ট ওই পত্রের পরীক্ষা বাতিলসহ ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান রিয়াদকে একই অপরাধে সেমিস্টারের ওই পরীক্ষা বাতিলসহ ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া কোর্সের পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন ও নকলের উপাদান সঙ্গে রাখা এবং তা থেকে দেখে লেখায় বিএমবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গোলাম সারওয়ারকে সংশ্লিষ্ট সেমিস্টারের ওই পত্রের পরীক্ষা বাতিলসহ এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই অপরাদে কৃষি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো, আশিক ইকবাল আদরকে ওই পত্রের পরীক্ষা বাতিলসহ ছয় মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নকল করায় নোবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ব্রাজিল হলে ভারত কী? 
  • মাদক মামলায় খালাস পেলেন ডা. ঈশিতা
  • ঘুরেফিরে তারাই খেলে সেমিতে