পেছনে আগুন, বাঁচার আর্তনাদ কিশোরের
Published: 29th, January 2025 GMT
পেছনে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। জানালায় দেখা যাচ্ছে ভয়ার্ত কিশোরকে। প্রাণে বাঁচার আকুতি জানিয়ে আর্তনাদ করছে সে। বাইরে থাকা শত শত মানুষ চেষ্টা করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সাহসী কয়েকজন জানালার পাশের দেয়াল ভাঙতে শুরু করেন। অবশেষে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয় দগ্ধ অবস্থায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে এ ঘটনা। এ সময় সামান্য দূর থেকে ধারণ করা ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ কিশোরের নাম নিতুন সরকার (১৫)। সে দশম শ্রেণির ছাত্র। শুরুতে তাকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই সেখান থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় নিতুনকে।
নিতুন পরিবারের সঙ্গে থাকে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাসেম বেপারীর বাড়িতে। তার বাবা নিমাই সরকারের স্থায়ী ঠিকানা ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়। হাসেম বেপারীর বাড়িতে মঙ্গলবার শেষ বিকেলে আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া দীনবন্ধুর ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত আগুন আশপাশের চারটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর মধ্যেই নিজ ঘরে নিতুনের আটকে পড়ার ঘটনা নজরে আসে।
উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেওয়া লোকজন জানান, তারা অন্য কোনো উপায় না দেখে জানালার পাশের দেয়াল ভেঙে আহত অবস্থায় নিতুনকে উদ্ধার করে। ছেলেটিকে জীবিত উদ্ধার করতে দেখে সবাই খুব খুশি হয়। তারা অভিযোগ করেন, অনেক বড় বাড়ি হলেও সেখানে ঢোকার জন্য মাত্র একটি দরজা রয়েছে। এ কারণেই উদ্ধারে বেগ পেতে হয়।
আগুনে আরও দগ্ধ হয়েছেন ভাড়াটিয়া জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সোমা আক্তার (৪০) ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক ব্যক্তি। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের দলনেতা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।