বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও বামপন্থিদের গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি। তাদের  অনুপস্থিতিতে সভাপতি ছাড়া অন্য পদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জামায়াতের আইনজীবীরা।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হবে। গত মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পর প্রচার শুরু হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, সভাপতি প্রার্থী মজিবুর রহমান নান্টু, আলী হায়দার বাবুল ও এস এম সাদিকুর রহমান লিংকন বিএনপিপন্থি। সহ-সভাপতি পদে বিএনপির দুই প্রার্থী অসীম কুমার বাড়ৈ ও তারিকুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে মির্জা মো.

রিয়াজ হোসেন ও তারিকুল ইসলাম বিএনপির, অন্য প্রার্থী সালাউদ্দিন মাসুম জামায়াত নেতা। অর্থ সম্পাদক পদে বিএনপির আব্দুল মালেকের বিপরীতে রয়েছেন জামায়াতের ফরিদ উদ্দিন। যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে বিএনপির প্রার্থী বিউটি সুলতানা ও আবদুর রহমান চোকদারের বিরুদ্ধে জামায়াতের মনির হোসেন ও রুহুল আমিন প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যর চার পদের বিপরীতে ছয়জনই বিএনপিপন্থি।

গত বছর নির্বাচনে ১১ পদের মধ্যে সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০টিতে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ জয় পায়। গত ১ জানুয়ারি বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা জরুরি সভা করে বিজয়ীদের অপসারণ করে গতবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পরাজিত সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে আওয়ামী ও বামপন্থিরা নির্বাচন বর্জন করেছে।

আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি লস্কর নুরুল হক জানান, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অবৈধভাবে জরুরি সভার নামে কমিটি দখল করেছে। প্রতিবাদে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, আওয়ামী ও বামপন্থি আইনজীবীদের অংশ নিতে আহবান জানানো হলেও আসেননি। এ দায় আমাদের নয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল আইনজ ব র র রহম ন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা  জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
  • চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
  • ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
  • আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
  • সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা
  • পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য