জবির বাঁধনের নেতৃত্বে মাবুদা-নিশাদ
Published: 29th, January 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধনের কার্যকরী কমিটি-২০২৫ গঠিত হয়েছে।
এতে সমাজকর্ম বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রিমাকে জোনাল প্রতিনিধি, উম্মে মাবুদাকে সভাপতি এবং একই ব্যাচের আইন বিভাগের তাসলিমুল হাসান নিশাদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একটি কক্ষে বাঁধনের জবি ইউনিটের ‘পঞ্চদশ ডোনার সংবর্ধনা, নবীন বরণ ও দায়িত্ব হস্তান্তর-২০২৪’ অনুষ্ঠানে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে, একটি আনন্দ র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
সদ্য সাবেক সভাপতি এনামুল হক বিজয়ের সভাপতিত্বে ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.
এ সময় উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, “বাঁধন মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সংগঠনের মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত হতে পারে। দেশের স্বার্থে এ ধরনের কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।”
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধনের প্রধাণ শিক্ষক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি বাঁধন মাহমুদ, আব্দুল হামিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শিহাব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রেদওয়ানুল করিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান ইসরাক, কোষাধ্যক্ষ জান্নাতুল মাওয়া লিশা, দপ্তর সম্পাদক আশফাকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাক জোবায়ের রিয়াদ, তথ্য ও শিক্ষা সম্পাদক আজিজুল হক ওজিল।
কমিটির নির্বাহী সদস্য হলেন খালিদ হাসান, হৃদয় বিশ্বাস, মিজানুল ইসলাম সায়েম, মো. সাফায়েত, আসিফ রহমান।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’