ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিতে দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্প করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শাখা কমল মেডি এইড।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এ মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। ঢাবি শাখা কমল মেডি এইড এর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “এমন স্বোচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। আমি বিশ্বাস করি অনেক শিক্ষার্থী এই মেডিকেল ক্যাম্প এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। এমন কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় সাধুবাদ জানাবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম ভূইঁয়া ইমন প্রমুখ। 

সরেজমিনে মেডিকেল ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে, ১৩টি বুথের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে মেডিকেল সেবা দেওয়া হচ্ছে। মেডিসিন, নাক-কান-গলা, গাইনি, চর্ম, চক্ষু ও অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তররা দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও সরবরাহ করা হয়েছে।

সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থী মুনিরা আক্তার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেডিকেল সেন্টার থাকলেও চিকিৎসা সেবা খুবই অপ্রতুল। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারছেন। আজকের আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের উচিত এমন কাজে উৎসাহ দেওয়া।”

কমল মেডি এইডের প্রতিষ্ঠাতা তানবীর বারী হামিম বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে কোন ফার্মেসি নেই। অনেক দূরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ঔষধ কিনতে হয়। শিক্ষার্থীরা যেন  খুব সহজেই রুমে বসে এ সেবা পেতে পারেন, সে লক্ষ্যেই আমি কমল মেডি এইড চালু করি। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আজ কমল মেডি এইড, ঢাবির মেডিকেল সেবা ও স্বাস্থ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক্যাম্প থেকে সকাল থেকে ১ হাজার ৯৮৭ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা’ স্লোগান নিয়ে কমল মেডি এইড, ঢাবির যাত্রা শুরু হয়। এছাড়াও স্বোচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহের কাজ করে থাকে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কমল ম ড

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল

গাজায় সব মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার দেশটি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় রাজি হতে হবে।

বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির (যুদ্ধবিরতি) ঘোরতর লঙ্ঘন। এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তাও চেয়েছে হামাস। 

নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় চুক্তি শেষ হয়েছে এবং হামাস উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ (রোববার) সকাল থেকে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু রোববার সকাল থেকে গাজায় আর কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে গাজায় হঠাৎ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেখানকার মানুষ ময়দা, রুটি যা পারছে তাই খুঁজছেন। যেন সারাদিন রোজা রাখার পর অন্তত ইফতার করা যায়। পণ্য সরবরাহ বন্ধ করায় আবারও না খেয়ে থাকায় শঙ্কায় পড়েছেন গাজাবাসী। 

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও, এখনই হামলায় যাচ্ছে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে রমজান মাসে যুদ্ধ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে হামাস গাজার যুদ্ধবিরতির চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম, স্বীকার করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • দুইদিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ২ মাস চলে গেল, আর কবে বই পাবে শিক্ষার্থীরা
  • বিকাশ–রকেট–ডেবিট কার্ডে কেন মেট্রোরেলের রিচার্জ সুবিধা চালু হচ্ছে না
  • গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধে জাতিসংঘ ও আরব দেশের নিন্দা
  • অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে
  • রমজানে লোডশেডিং বন্ধে সবার সহযোগিতা চাইলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা
  • ভোজ্যতেল নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছেই
  • গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল