তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে সম্পর্কের বরফ গলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
Published: 29th, January 2025 GMT
উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি। সম্মেলন সফল করতে লাঠি মিছিল হয়েছে। আবার সম্মেলনের বিরোধিতা করে মশাল, ঝাড়ু ও জুতা মিছিলও হয়েছে। সম্মেলনের তারিখ পিছিয়েছে দুই দফা। তৃতীয় তারিখেও সম্মেলন হবে কি না এ নিয়ে সংশয়।
অবশেষে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপিতে। তারেক রহমানের নির্দেশ পেয়ে বিরোধীতাকারী পক্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে কেটে গেছে সংশয়।
দুই দফা পিছিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রায় এক দশক পর হতে যাওয়া সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা করা হয়েছে বলে বিরোধীতাকারী পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার পর অবশ্য সম্মেলনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভোট ছাড়া নেতৃত্ব নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান। বিষয়টি নিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও জেলার এক নেতার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার মতো লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ নির্দেশনা দেন।
জানা যায়, জেলা বিএনপি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও সিরাজুল ইসলামের পক্ষে থেকে পেছন থেকে সমন্বয় করছেন কবির আহমেদ। অন্যদিকে সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে থাকা কমিটির পেছনে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
কেন্দ্রীয় বিএনপি ঢাকায় দুই পক্ষকে ডেকে নিয়ে সুরাহার চেষ্টা করলেও এতে সফল হননি। শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে এখন ঐক্যের সুবাতাস দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মান্নান জানান, পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্মেলন সফলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন র ব র হ মণব ড় য় ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।
জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি।