পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী সুরুজ্জামান বকুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নির আদালত এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ১১ জুন নাজমা আক্তারকে সাভার থানাধীন আকরাইনের বাড়িতে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বকুল। এ সময় দুই মেয়ে সুরাইয়া ও সুমাইয়া লোকজনের সহায়তায় বকুলকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় পরদিন নাজমার বাবা আবদুল আজিজ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় বকুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

রায় ঘোষণার পর বকুলকে সাজা পরোয়ারা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডিত বকুল ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার পুটিজানা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গড়াইয়ে বিএনপি নেতার দাপট

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের জিলাপিতলা-সংলগ্ন গড়াই নদীর চর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ নিয়ে এক বিএনপি নেতা ও ইজারাদার কর্তৃপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
ইজারাদারের লোকজনের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজাহান আলী মোল্লা ও তাঁর সমর্থকরা ইজারা নেওয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ টাকার মাটি ও বালু কেটে নিচ্ছেন। ছয় দিন ধরে এভাবে মাটি-বালু লুট করছেন তারা। 
ইজারাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করছেন বিএনপি নেতা সাজাহান ও তাঁর সমর্থকরা। তারা বলছেন, গড়াই নদীপারে তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ফসলাদি চাষ হতো। ইজারাদার মাসুদ রানা আওয়ামী লীগের সমর্থক। দীর্ঘদিন ধরে চর ইজারা নেওয়ার নাম করে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থেকে মাটি ও বালু কেটে নিয়েছেন। তবে এখন ক্ষমতা বদল হওয়ায় নিজেদের জমি চাষাবাদের উপযোগী করার জন্য নিজেরাই মাটি ও বালু অপসারণ করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর মূলগ্রাম, হিজলাকর, এনায়েতপুর ও গোবিন্দপুর মৌজার বালুমহাল এক বছরের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা। প্রায় ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা মূল্যের ঘাটের ইজারার মেয়াদ চলতি বছর ১৩ এপ্রিল শেষ হবে। 
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জিলাপিতলা-সংলগ্ন গড়াই নদীতে গিয়ে দেখা যায়, নদীর চরে কলা, গম, মসুরসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করা হয়েছে। সেখান থেকে ভেকু দিয়ে বালু ও মাটি কেটে ট্রাকসহ নানা যানবাহনে করে বিভিন্ন এলাকায় নেওয়া হচ্ছে। সেখানে একটি অস্থায়ী ঘর করে রসিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করছেন ইজারাদারের লোকজন। নদীপারের কলা বাগানের ভেতরে তাঁবু টাঙিয়ে বসে টাকা তুলছেন বিএনপি নেতা সাজাহানের সমর্থকরা।
এ সময় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক এনামুল হক বলেন, ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য চর ইজারা নিয়েছেন। মেয়াদ 
শেষ হবে ১৩ এপ্রিল। অথচ ছয় দিন ধরে বিএনপি নেতা সাজাহান আলীর নেতৃত্বে ইজারা নেওয়া ঘাট থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাটি ও বালু লুট করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানান।
গড়াই নদীর কূল থেকে মাটি ও বালু কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজাহান আলী মোল্লা। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জিলাপিতলা এলাকায় তাদের কয়েক পুরুষের অন্তত ৮৫-৯০ বিঘা জমি আছে। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ইজারাদার মাসুদ তাদের জমি থেকে এতদিন মাটি ও বালু কেটে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করার লক্ষ্যে এখন মাটি ও বালু অপসারণ করে ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে কোনো অন্যায় কাজ করা হচ্ছে না।
কুমারখালীর ইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বিষয়টি জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ