চট্টগ্রামে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
Published: 29th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে বাস মালিকদের বিরোধের জেরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে নগরীর শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, ঈগল পরিবহনের বাস মালিকদের টাকা লেনদেন-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সড়ক অবরোধ করে বাসের চালক ও তার সহকারীরা। এ ঘটনায় সড়কে বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের কারণে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের প্রবেশমুখে প্রায়ই এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
পুলিশ সূত্র বলছে, ঈগল পরিবহনের বাস মালিকদের দুইটি গ্রুপ আছে। ভাড়ার টাকা নিয়ে সৃষ্ট কোন্দলের জেরে বাস চালক ও সহকারীরা রাস্তার একপাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বন্ধ করে দেন। প্রায়ই এক ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকায় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন শতশত যাত্রী।
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের দুটি গাড়ি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প
ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।
ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।
মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।
ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।