২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধান, জড়িত ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের শাস্তি ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাদের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলের দাবি করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানিয়ে পুনঃতদন্তের জন্য অভিযোগপত্র দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই নির্বাচনের জিএস প্রার্থী মো.

রাশেদ খাঁন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাবির সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুনঃতদন্তের অভিযোগপত্র প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের নিয়ে বিবৃতি দেন তিনি। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুনতাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত অভিযোগপত্রে রাশেদ খাঁন বলেন, “২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে আমি জিএম প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করি। নির্বাচনে আমার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৩টি দেখানো হয়। তৎকালীন উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানের ভোট কারচুপির সহযোগিতায় জিএস হিসেবে নির্বাচিত দেখানো হয় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। ডাকসুর ইতিহাসে রাত সাড়ে ৩টায় ফলাফল ঘোষণা করে উপাচার্য ছাত্রসমাজের সঙ্গে প্রহসন ও মশকরায় লিপ্ত হন।”

তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও জঘন্য কারচুপিতে লিপ্ত হন শিক্ষক নামধারী এ ফ্যাসিবাদের দোসর উপাচার্য ও তার সহযোগী শিক্ষকরা। এমনকি জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কোন নিয়ম না মেনেই উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানের সহযোগিতায় এমফিলে ভর্তি হন। এ নিয়ে তখন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য সংবাদও প্রকাশিত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “যেহেতু গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্বই ছিল না ও শিক্ষকদের সহযোগিতয় অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালটপেপারে অবৈধভাবে ছিল মারা, কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা, ভোট দানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ নানা কারচুপির সঙ্গে যুক্ত হন; এজন্য আমি তার ছাত্রত্ব ও ডাকসু পদ বাতিল দাবি করছি। এছাড়া সে নিষিদ্ধ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অসংখ্য শিক্ষার্থীকেও নির্যাতন করেছেন এবং ক্যাম্পাসে অসংখ্য হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।”

রাশেদ বলেন, “তখন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী হিসেবে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। কারণ ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল ডাকসু নির্বাচনে উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানকে ভোট কারচুপিতে সহযোগিতাকারী ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের সমন্বয়ে।”

রাশেদ আরো বলেন, “২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধানে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন, জড়িত শিক্ষকদের শাস্তি ও বহিষ্কার, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী  নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সকল সদস্যদের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলপূর্বক ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র ২০১৯ স ল র সহয গ ন তদন ত সহয গ ত গ রহণ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

চাপে পড়ে প্রেমিকার নাম প্রকাশ করলেন সিরাজ

সম্প্রতি মিডিয়ায় মোহাম্মদ সিরাজ ও কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আশা ভোঁসলের নাতনি জনাই ভোঁসলের ছবি প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে গুঞ্জন চলতে থাকে জনাইর সঙ্গে সিরাজের প্রেম চলছে। জনাইও তার ২৩তম জন্মদিনে সিরাজের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার দেন দুটি হাসির ইমোজি দিয়ে। সেটা ভাইরালও হয়।

এমন সময় বিতর্ক ও গুঞ্জন দূর করতে সিরাজ প্রকাশ্যে আনলেন তার প্রেমিকাকে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) ভারতের এই পেসার জানিয়েছেন তিনি ও অভিনেত্রী মাহিরা শর্মা সম্পর্কে আছেন। ২৯ বছর বয়সী এই পেসার বেশ কিছুদিন ধরে ডেটিং করছেন মাহিরার সঙ্গে।

এদিকে জনাইও বিষয়টি পরিস্কার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে। সেখানে তিনি সিরাজকে ভাই সম্বোধন করে লিখেন, ‘মেরি পেয়ারি ভাই’ (আমার প্রিয় ভাই)। ওই পোস্টে সিরাজ বোন লিখে কমেন্ট করেন। আর এর মধ্য দিয়ে জনাইর সঙ্গে তার প্রেমের যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল সেটার ইতি টানেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রেকর্ড ভেঙে ৩৭ বলে ঢাকাকে উড়িয়ে দিলো বরিশাল

ব্যাটিং বিভীষিকায় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ঢাকা

জানা গেছে, মাহিরা শর্মাও সিরাজের সঙ্গে তার প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এতোদিন তারা দুজন লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছিলেন। সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। গেল বছরের নভেম্বরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে এও জানা গেছে, তারা দুজন সম্পর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন। ভবিষ্যতে তারা দুজন এই সম্পর্ককে কতোদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সে বিষয়ে কিছুই বলেননি।

মাহিরা শর্মা কে?
মাহিরা পরিচিত একজন অভিনেত্রী। তিনি হিন্দি ও পাঞ্জাবি টিভি শো’তে কাজ করেন। জম্মু ও কাশ্মিরে জন্ম নেওয়া মাহিরা খুব ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। বিশেষ করে নাগিন (২০১৮), বেপানাহ পেয়ার (২০১৯) ও কুন্দালি ভাগায়া (২০১৯)। এই সিরিজগুলোর মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

২০২৩ সালে তিনি একটি পাঞ্জাবি সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করেন। বেশ কিছু ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন মাহিরা। এ পর্যন্ত এই অভিনেত্রী পঞ্চাশটির অধিক মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন।

২০১৯ সালে তিনি বিগ বস-১৩’তে অংশ নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে ‘সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে হামলা, আহত ৮
  • অর্থ পাচারে এনু-রুপনের সাত বছর দণ্ড
  • জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় পেছাল
  • জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ 
  • চাপে পড়ে প্রেমিকার নাম প্রকাশ করলেন সিরাজ