বলিউডের ‘লাস্ট সুপারস্টার’ তারা!
Published: 29th, January 2025 GMT
বলিউডে খানত্রয়ীর অবদান ব্যাখ্যাতীত। উত্তরাধিকারকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন যোগ্য প্রজন্ম। খানত্রয়ীর পর রণবীর কাপুর, হৃতিক রোশান, কার্তিক আরিয়ানকে ‘লাস্ট সুপারস্টার’ মনে করেন অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। এরপরের বলিউড নিয়ে শঙ্কিত ‘কহোনা প্যায়ার হ্যায়’খ্যাত এই তারকা।
ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আমিশা প্যাটেল। এ আলাপচারিতায় ‘গদর’ তারকা বলেন, “সালমান খান, শাহরুখ খান, আমির খানের পর রণবীর, হৃতিক, কার্তিক অবশ্যই তাদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং এটাই শেষ। আমার ধারণা, এখানেই শেষ। সত্যিকার অর্থে তারাই কাজ করে যাচ্ছে; তাদের পরে বলিউডে কী হবে তা ভাবতেও ভয় লাগে।”
বলিউডের শীর্ষ তারকাদের উপরে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা থাকে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “যখন শাহরুখ খান, সানি দেওল, অজয় দেবগন, সালমান খান, রণবীর অথবা হৃতিকের একটি সিনেমা মুক্তি পায়, তখন প্রত্যাশা থাকে এটি তাদের পূর্ববর্তী ব্লকবাস্টার সিনেমার মতো হবে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি সিনেমা হিট হওয়া সম্ভব নয়। এরকম সাফল্য বিরল। প্রতিটি সিনেমাই ব্লকবাস্টার হতে পারে না।”
আরো পড়ুন:
সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন যীশুর কন্যা, নীরবতা ভাঙলেন সারা
আহত রাশমিকা, শুটিং বন্ধ
বলিউড ইন্ডাস্ট্রি কয়েকজন তারকার উপরে ভীষণভাবে নির্ভরশীল। ফলে চাপ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এ তথ্য উল্লেখ করে আমিশা প্যাটেল বলেন, “এই চাপ যদি আরো বৃহত্তর গোষ্ঠীর মাঝে সমানভাবে দেওয়া যেত, তবে এটি সহজ হতো। কিন্তু এটি খুব কম সংখ্যক তারকার উপরে রয়েছে। ফলে এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং।”
২০০০ সালে বলিউডে পা রাখেন আমিশা প্যাটেল। কিন্তু ২০০৩ সালের পর সেভাবে আর বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেনি আমিশার সিনেমা। মাঝে একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছিলেন। নিজে প্রযোজনা সংস্থাও খুলেও কোনো লাভ হয়নি। তবে ব্যর্থতার তকমা মুছে দিয়েছে ‘গদর টু’ সিনেমা। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় এটি। আমিশা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘তওবা তেরা জালওয়া’। গত বছরের শুরুতে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রণব র ক প র আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ