মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবেলায় একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিদেশি কলেজ ছাত্র এবং অন্যান্য ‘আবাসিক বিদেশিদের’ বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেবেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুধবার আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

আদেশের একটি তথ্যপত্রে বলা হয়েছে,  ট্রাম্প বিচার বিভাগকে ‘আমেরিকান ইহুদিদের ওপর সন্ত্রাসী হুমকি, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মকভাবে বিচার করার’ নির্দেশ দেবেন।

ট্রাম্প তথ্যপত্রে বলেছেন, “জিহাদিপন্থী বিক্ষোভে যোগদানকারী সব আবাসিক বিদেশিদেরসতর্ক করছি: ২০২৫ সালে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং আপনাকে নির্বাসিত করব। আমি কলেজ ক্যাম্পাসে হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল সব ছাত্র ভিসা দ্রুত বাতিল করব.

..।”

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে গত বছর মার্কিন ক্যাম্পাসগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ওই বছরের মে মাসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন ক্যাম্পাসের ৯৭ শতাংশ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল।

বিক্ষোভকারীদের অনেকেই জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বৈধ সমালোচনাকে ইহুদি-বিদ্বেষের সাথে মিশিয়ে ফেলা একটি পরিচিত কৌশল, যা ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে কথা বলা লোকদের নীরব করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ