টিকটক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করায় পাকিস্তানে কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করেছে বাবা। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটার একটি রাস্তায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বুধবার জানিয়েছে এএফপি।

পুলিশ কর্মকর্তা বাবর বালুচ জানিয়েছেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিবারকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে এনেছিলেন আনোয়ার উল-হক নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে। তার বর্ণনায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বুধবার তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি তার কিশোরী মেয়েকে টিকটক কন্টেন্ট তৈরি করতে নিষেধ করেছিলেন। আদেশ না মানায় তিনি মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জোহাইব মহসিন বলেন, “আমাদের তদন্তে এখনো পর্যন্ত দেখা গেছে যে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটির পোশাক, জীবনযাত্রা এবং সামাজিক যোগাযোগের প্রতি আপত্তি জানিয়েছিলেন। আমাদের কাছে তার ফোন আছে। আমরা অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) সহ সব দিক তদন্ত করছি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ