চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নামছে ৩৬ দল, রিয়াল-ম্যানসিটির সামনে যে সমীকরণ
Published: 29th, January 2025 GMT
প্রায় চার মাস ধরে চলা নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের সমাপ্তি হবে আজ রাতে। গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে সবক’টি দল মাঠে নামছে। বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় একসঙ্গে ১৮টি ম্যাচ শুরু হবে। যার মানে, আজ রাতে ইউরোপজুড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উৎসব চলবে।
এর মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজি নামছে আসরে টিকে থাকার শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে। রিয়াল মাদ্রিদের সামনে সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলো খেলার চ্যালেঞ্জ। এসি মিলান, আটালান্টা, বায়ার লেভারকুসেনের সামনেও সেরা আটে টিকে থাকার লড়াই।
৩৬ দলের গ্রুপ পর্বে সেরা আটে থাকা দলগুলো সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলবে। নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো প্লে-অফে মুখোমুখি হবে। প্লে-অফ থেকে আসা ৮ দল এবং পয়েন্ট টেবিলের সেরা ৮ দল আগামী মার্চে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। এরই মধ্যে শুধু লিভারপুল ও বার্সেলোনা সেরা আটে থাকা নিশ্চিত করেছে।
শেষ রাউন্ডের আগে সেরা আটে থাকা অন্য দলগুলো হলো আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, এসি মিলান, আটালান্টা ও বায়ার লেভারকুজেন। গ্রুপ পর্বের শেষ রাতে অনেক কিছু উলটপালট হয়ে যেতে পারে।
এই যেমন, অষ্টম স্থানে থাকা লেভারকুজেন থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা স্টুটগার্ট আছে ২৪ নম্বরে। তাদের মাঝে আরও ১৫ দল আছে। কাজেই একটি জয়-পরাজয় তো বটেই, গোল পার্থক্যেও অনেকে বাদ পড়তে পারে। এর মধ্যে আর্সেনাল ও ইন্টার কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, ড্র করলেই তাদের সেরা আটে থাকা পাকা। গানাররা খেলবে জিরোনার মাঠে এবং ইন্টার ঘরের মাঠে মোনাকোর মুখোমুখি হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স রিয়াল মাদ্রিদ, রানার্সআপ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাসের মতো জায়ান্টরা আজ সেরা আটে থাকার লড়াইয়ে নামবে। তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত। তবে ঝুঁকিতে আছে ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি। তারা এখন ২৫তম স্থানে আছে। ২৪ নম্বরে থাকা স্টুটগার্টের চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে পেপ গার্দিওলার দল। গত ম্যাচে পিএসজির কাছে ৪-২ গোলে হেরে আজ ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘ফাইনাল’ বানিয়ে ফেলেছে সিটি।
এর মধ্যে একটু স্বস্তি হলো, আজ তারা ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন পাঁচজন দলে টানায় শক্তিও কিছুটা বেড়েছে সিটির। সিটির বিপক্ষে জিতে ২২ নম্বরে উঠে আসা পিএসজিও ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। ২৪ নম্বরে থাকা স্টুটগার্টের মাঠে খেলতে নামবে আজ তারা। ড্র করতে পারলেই প্যারিসের দলটির প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে হেরে গেলে বিদায়।
পিএসজির জন্যও স্বস্তির খবর হলো, গত মৌসুম চমক দিয়ে বুন্দেসলিগায় রানার্সআপ হওয়া স্টুটগার্টের এবার আর সেই ধার নেই। গত মৌসুমে সাফল্যের রূপকার স্ট্রাইকার সেরহো গুইরাসি, অধিনায়ক ওয়ালডারমার এন্টন, সেন্টারব্যাক হিরোকি ইতোসহ বেশ কয়েকজন দল ছেড়েছেন। তাই এবার সেই শক্তি নেই জার্মান ক্লাবটির।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প পর ব প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।