ইবি ডিবেটিং সোসাইটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
Published: 29th, January 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ডিবেটিং সোসাইটির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ও খালেদা জিয়া হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ফাতিমাতুজ জোহরা ইরানী আহ্বায়ক এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাদ্দাম হোসেন হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি দিদারুল ইসলাম সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- লালন শাহ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ইয়ামান মোস্তাহসিন, শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি রায়হান বিশ্বাস, শেখ রাসেল হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অনিন্দ্য সাহা, মুজিবুর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ফুয়াদ হাসান, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আরোশী আঁখি, শেখ হাসিনা হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আশা মনি।
কমিটিতে আরো আছেন, খালেদা জিয়া হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ইসবা বিথী, শেখ হাসিনা হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আরিফা ইসলাম, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিফাত জাহান আইভি, লালন শাহ হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আলী, শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম তারেক, সাদ্দাম হোসেন হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাহিদুর রহমান, মুজিবুর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান তালুকদার শেখ রাসেল হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমেদ।
সদস্য সচিব বলেন দিদারুল ইসলাম বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটিকে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস গড়তে চাই। আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা যথাযথ পালনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রমেক হাসপাতালের সেই চিকিৎসক মাহবুবুরের বদলি চান সহকর্মীরা
অপচিকিৎসায় দুই রোগীর মৃত্যুসহ রিং বাণিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমানকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছেন সহকর্মীরা।
গত মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যত্র পদায়ন বা বদলির আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন। এতে সই করেছেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হরিপদ সরকার, ডা. রবীন্দ্রনাথ বর্মণ, সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু জাহিদ, ডা. হাসানুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আশেকুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল আলীম সরকারসহ ১১ চিকিৎসক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ডা. মাহবুবুর কর্তৃক হার্টের রক্তনালিতে রিং পরানোয় অনিয়ম নিয়ে ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রমেক হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি তদন্তও করেছে। কিন্তু ডা. মাহবুবুর অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি ও অর্থনৈতিক প্রলোভন দেখিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। এ অবস্থায় তিনি রমেকে থাকলে তাঁর অনিয়মের পুনরাবৃত্তি এবং রোগীদের প্রতিবাদের আশঙ্কাসহ সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে।
প্রয়োজন না হলেও রোগীকে ‘আতঙ্কিত’ করে রিং স্থাপনে উৎসাহিত করা, হার্টের রক্তনালিতে একটি রিং (স্টেন্ট) স্থাপন করে তিনটির টাকা নেওয়া, রিং না বসিয়ে সার্জারি করেই রিংয়ের টাকা আদায় করাসহ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আছে ডা. মাহবুবুরের বিরুদ্ধে। এসবের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হতেই তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে অভিযোগ তুলে নিতে ‘চাপ ও হুমকি’ দিচ্ছেন বলে ২২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আতোয়ার রহমান নামে এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মাহবুবুর বলেন, প্রত্যেক রোগীর হার্টে রিং স্থাপনের পর তাঁকে রিপোর্ট কপি এবং সিডি দেওয়া হয়। সেখানে বিস্তারিত তথ্য থাকে। এর পরও যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে এটা দুঃখজনক।
ডা. মাহবুবুরকে সরাতে কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায় সিদ্ধান্ত নেবে।