আপনারা রাস্তায় নেমে আমাদের ঘেরাও করেন: ফারুকী
Published: 29th, January 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিৎ। ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্রের সামগ্রিক উন্নতি করা সম্ভাবনা। আমারা সবাই জানি আমাদের সমস্যা কি, সমাধান কোথায়। তার আগে স্টেকহোল্ডারদের একটি নীলনকশা তৈরি করা উচিৎ, যার তত্ত্বাবধানে একটি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে; যা আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কারে প্রথম ধাপ হবে। এছাড়া দাবি আদায়ে আপনারা রাস্তায় নামেন। আপনারা আমাদের ঘেরাও করেন। আন্দোলন করে আমাদের বাধ্য করেন যাতে আমরা চলচ্চিত্র সংস্কারে তৎপর হই।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে আয়োজিত এ সম্মেলনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিনয়শিল্পী, নির্মাতাসহ সিনেমা সংশ্লিষ্ট প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি একজন পরিচালক। বর্তমানে আমি সরকারি একটি দায়িত্বে আছি দুইদিন পর আবার পূর্বের অবস্থানে চলে যাব। আমাকে যদি প্রশ্ন করেন, নতুন দেশে আমারা যে দায়িত্বে পেয়েছি সেখান থেকে সিনেমার জন্য আমরা কাজ করতে পেরেছি কিনা। আমার উত্তর হবে আমরা পারিনি। এটার পেছনে অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হল- প্রতিদিন আমরা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
ফারুকীর কথায়, ‘চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২৫০ জন মানুষ মিলে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছিল। এখানে এসে আমি অনেক প্রস্তাবনা হাতে পেয়েছি। সেগুলো দেখেছি। এই প্রস্তাবনাগুলো শুধু নিয়মের মধ্যে ফের কিছু বাস্তবায়ন করলে কিন্তু আমাদের অনেক সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু সেগুলো আমরা করতে পারিনি। আমি সরকারে থেকে এটা আমাদের ব্যর্থতা মনে করি।’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে অন্যতম গণযোগাযোগ, বিনোদন, শিল্প চর্চা ও বাণিজ্যিক খাত হিসেবে গড়ে তুলতে প্রায় ১৮টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। চলচ্চিত্র মন্ত্রণালয় গঠনের পাশাপাশি ‘চলচ্চিত্র সংস্কার কমিশন’ গঠনের মাধ্যমে অংশীজন প্রস্তাবিত সংস্কার, ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.
সংগঠনটির সভাপতি সাদমান শিহির সভাপতিত্বে সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জারিন তাসনিম রোজা। এরপর জুলাই বিপ্লবের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সম্মেলনে আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য আকরাম খান, জনপ্রিয় গীতিকার ও নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, নির্মাতা রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, অভিনয়শিল্পী ইমতিয়াজ বর্ষণ, জান্নাতুল ফেরদৌসি ঐশী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সদস্য মাশরুর আলমসহ আরও অনেকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাবি শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে কুপিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে এবং কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪০)। তিনি নগরীর বিনোদপুর-মীর্জাপুর এলাকার বাসিন্দা আজিজুল ইসলামের ছেলে। রবিউল আওয়ামী লীগের কর্মী। তার নামে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, বুধবার রাতে পঞ্চবটি এলাকায় রবিউলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া তাকে গুলিও করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। কয়েকজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে আবার মোটরসাইকেলেই চলে গেছে।
ঘটনার পর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রবিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে তাকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে. বিশ্বাস বলেন, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে কোপানো হয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রবিউল ইসলামের নামে মোট পাঁচটি মামলা আছে। এর মধ্যে রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলারও আসামি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাবি ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী নিহত হন। এ মামলায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম।