তৈমূরের লোক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
Published: 29th, January 2025 GMT
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের লোক পরিচয়ে রূপগঞ্জের চিহ্নিত ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, রূপগঞ্জে মাদানী এভিনিউতে জমি অধিগ্রহনের বিল আটকিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। এমন অভিযোগে বুধবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সামনে বিক্ষোভ করেছে ওই অসহায় জমির মালকরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সারফারাজ মিয়া বলেন, আমরা আজ বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছি। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত।
বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছি। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হওয়ার পর তাদের দোসর তৈমূর আলম খন্দকারের লোক রূপগঞ্জের ত্রাস রফিকুল ইসলাম লিটন নিজেকে বিএনপির লোক পরিচয় দিচ্ছে। আসলে তিনি বিএনপির কেউ না। তিনি মূলত তৈমূরের লোক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৈমূর আলম যখন পাওয়ারে ছিলো তখন তিনি ওনার মাধ্যমে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। আর ওই সময়েই রূপগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জ কোর্টে ওনার নামে বিভিন্ন অভিযোগে মামলাও হয়। রূপগঞ্জের মাদানী এভিনিউতে রাস্তার পাশে আমাদের যে জমি পড়েছে, সেই জমি অধিগ্রহনের বিল তিনি আটকিয়ে রেখেছে।
আর বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বাবার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। লিটন আমাদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এই টাকা যদি না দাও তাহলে তোমাদের বিল কোনদিনও তোলতে পারবা না।
তোমরা যদি কোর্টে যাও তাহলেও কোন লাভ হবে। তোমরা আমার কিছুই করতে পারবে না। এর চেয়ে ভালো তোমরা আমাকে টাকা দাও আমি বিল পাস করিয়ে দেই।’
তিনি বলেন, আমি একজন বিএনপির রাজপথে যোদ্ধা হিসেবে বলছি, তাকে আমি একটি টাকাও দেবো না। তিনি যদি আমাকে মেরেও ফেলে তবুও তাকে টাকা দেবো না। তিনি রাজউকের কেউ না। কিন্তু বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ভাইস্ট করে রাজউকের প্রায় ৭০-৮০ বিঘা জমি ওনি দখল করে আছে।
ওই জমিগুলো আমাদের রূপগঞ্জবাসীর, কারো বাবার জমি, কারো দাদার জমি। এগুলো ওনি দখল করে রেখেছে। জমির প্রকৃত মালিকরা তাদের জমিতে যেতে পারে না। জমিতে গেলে ওনার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা তার বিচার চাই।
এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ ভুক্তভোগী জমির মালিক ও তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত ম র আলম র পগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ পাঁচ সহযোগী রিমান্ড শেষে কারাগারে
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী ও তার পাঁচ সহযোগীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও তার সহযোগী মোস্তাক আহমেদ, সলিমুল্লাহ, মো. আসমতউল্লাহ, হাসান ও মনিরুজ্জামান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম।
জানা যায়, এর আগে গত ১৭ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকার একটি ১০ তলা ভবনের অষ্টম তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে আতাউল্লাহ, তার পরিবার ও সহযোগীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
একই দিনে ময়মনসিংহ জেলার নতুন বাজার এলাকার একটি বহুতল ভবনের ১০ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকেও আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে দুজন নারী ও দুজন পুরুষ ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় র্যাব বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। এসব মামলায় রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।