পৃথিবী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আর আমরা প্রথমে: বিটিআরসির মহাপরিচালক
Published: 29th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ খলিল উর রহমান বলেছেন, “ইন্টারনেট জগতে পৃথিবী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পৌছালেও আমরা এখনো প্রথম শিল্প বিপ্লবে পড়ে আছি। তরুণ প্রজন্মকেই এখান থেকে উৎরানোর দায়িত্ব নিতে হবে।”
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে আয়োজিত ১৯তম ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম-ঢাকা ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বেশকিছু সেক্টরে আমরা কাজ করছি। যেমন- টিচার্স ইজিএফ, স্টুডেন্ট আইজিএফ, মেডিকেল আইজিএফ, জুডিশিয়াল আইজিএফ প্রভৃতি। আইন করে কিছু হবে না, গাইডলাইন লাগবে; যেটা মেনে সবাই চলবে। ইন্টারনেট অন্যন্য মৌলিক অধিকারের মতোই একটি অধিকার। ইন্টারনেট বন্ধ করার কোন সুযোগ নেই।”
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু সাঈদ মো.
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হকের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু।
এছাড়া প্যানেল স্পিকার ছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. সাইমুন রেজা তালুকদার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলাম এবং অনলাইনে অস্ট্রেলিয়া থেকে বক্তব্য দেন এপিনিক এর ইন্টারনেট রিসোর্স এনালিস্ট সুবহা শামারুখ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের প্রতিবাদে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শেয়ারবাজারের বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এই বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীরা শেয়ারবাজারের পতনের জন্য বিএসইসির ব্যর্থতাকে দায়ী করে কমিশনের অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ৩০ মিনিট বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ শেষে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একটি মিছিলও বের করেন। মিছিলটি মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড় ঘুরে মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে তাঁরা বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন।
বিক্ষোভকালে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গত আট মাসে পুঁজিবাজারের সূচক শুধু নিচেই নেমেছে, ওপরে উঠে নাই। এই সময় সূচক প্রায় নয় শ পয়েন্ট কমেছে। টানা এই দরপতনে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে পতন চলতে থাকায় বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৮ লাখ থেকে কমে ৭ লাখে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের অনেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছেন।’
বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণে আলটিমেটামও ঘোষণা করেন। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা জানান, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যদি বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা জানান, বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা আমলের সুবিধাভোগীরাও বিএসইসিতে সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদেরও অপসারণ করতে হবে।