বন্দরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ  বিভিন্ন অপরাধে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ৯ জনের মধ্য ৩ জনকে ওয়ারেন্টে অপর ৩ জনকে পৃথক ২টি মামলায় ও জনতা কর্তৃক আটককৃত ৩ জনকে ৫৪ ধারায় বুধবার দুপুরে এদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধৃতরা হলো বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার মৃত কাদের মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রিপন (৩৮) কুড়িপাড়া এলাকার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ফয়সাল (৩২) একরামপুর এলাকার ইমরান হোসেন মিয়ার স্ত্রী সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী আছমা আক্তার (৩৭) কুশিয়ারা এলাকার মাহবুব মিয়ার ছেলে বন্দর থানার ৩৩(১)২৫ নং মামলার এজাহারভূক্ত আসামী রুবেল (২২) সোনারগাঁ থানার ত্রিপর্দী এলাকার হক মিয়ার ছেলে বন্দর থানার ২(১০)২৪ নং মামলার আসামী রাজিব (৩২) ও চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ  মতলব থানার দখরপুর এলাকার সাদেক আলী ছেলে একই মামলার আসামী হাসান প্রধান (২৩) ও এনায়েতনগর এলাকার জাকির হোসেন মিয়ার ছেলে রাশেদ হোসেন জিসান (২৮) কুশিয়ারা এলাকার মৃত জিলহক মিয়ার ছেলে শাহ জামাল (৪১) ও মাহমুদনগর এলাকার মিজানুর রহমান মিয়ার ছেলে নিশাদ (১৬)।  

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র ম র এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ