ফতুল্লার তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধারকৃত পচা লাশটি অপহৃত ভ্যান চালক হাবিবুর’র
Published: 29th, January 2025 GMT
অপহরনের ৫ দিন পর ফতুল্লা ধর্মগঞ্জের তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে অপহৃত ভ্যান চালক হাবিবুর রহমানের পচেঁ যাওয়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরনের জামা কাপড় ও পায়ের আঙ্গুল দেখে লাশ সনাক্ত করেন নিহতের বাবা ভ্যান চালক আজিজুল হক।
মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লার পঞ্চবটি ধর্মগঞ্জ শীষমহল আমতলা এলাকার স্বপন সরকারের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। এদিন রাতেই নিহতের বাবা তার ২১ বছর বয়সী ছেলের লাশ সনাক্ত করে থানায় আবেদন করেন।
এরআগে ২৫ জানুয়ারী আজিজুল হক তার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করে ছিলেন।
তখন অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার দিঘল হাইল্লা গ্রামে। তারা স্বপরিবারে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সাক্কু মিয়ার বাসায় ভাড়া থেকে ভ্যান গাড়ি চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করেন। তার ছেলে হাবিবুর রহমান (২১) গ্রামের বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
গত একমাস পূর্বে হাবিবুর রহমান ফতুল্লায় তার বাবার কাছে আসেন। তখন তার বাবা তাকে ভ্যান গাড়ি চালাতে দিয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যায়। এরমধ্যে গত ২৪ জানুয়ারী হাবিবুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে তার বাবা আজিজুল হকের মোবাইলে ফোন করে বলেন হাবিবুর রহমানকে পঞ্চবটি থেকে অপহরন করা হয়েছে।
তাকে ছাড়িয়ে নিতে হলে তিন লাখ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে। এতে আজিজুল হক অপহরনকারীদের বলেন আমরা বাপ ছেলে দুজনই ভ্যান গাড়িয়ে চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করি এতো টাকা পাবো কোথায়। এ কথা বলার পর থেকে হাবিবুর রহমানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর দিন আজিজুল হক ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ওয়াসিম বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহৃত হাবিবুরের লোকেশন সনাক্তের চেষ্টা করি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ থাকায় লোকেশন সনাক্তে বিলম্ব হয়।
আজিজুল হক বলেন, অভিযোগ করার পর তাৎক্ষনিক গুরুত্ব দিলে পুলিশ আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারতো। আমরা গরিব শরীরের ঘাম জড়িয়ে কঠোর পরিশ্রম করে কামাই রোজগার করি। অপহরনকারীরা যেনেও কেনো আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করলো।
তিনি আরো বলেন, আমি শুনছি এ অপহরনকারী চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত সক্রীয়। ফতুল্লার বিভিন্ন সড়ক থেকে সাধারন লোকজনদের ধরে নিয়ে মুক্তিপন আদায় করে ছেড়ে দেয়। আমার জানা মতে পুলিশও এ চক্র সম্পর্কে জানেন কিন্তু গুরুত্ব দেননা। আমি এ চক্রের সকলের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, যে বাড়িতে লাশটি পাওয়া গেছে সে বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়ার পরিচয় না জেনেই তার বাসা ভাড়া দিয়েছেন। এজন্য হত্যাকারীদের তাৎক্ষনিক সনাক্ত করতে পারিনি। তবে চেষ্টা চলছে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করার।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ হ ব ব র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।