৭ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে ‘তিতুমীর ঐক্য’
Published: 29th, January 2025 GMT
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে তিতুমীর ঐক্য।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃহৎ প্লাটফর্ম তিতুমীর ঐক্যের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সাত দফা দাবি প্রকাশ করা হয়। পরে বিকেল ৫টায় তিতুমীর কলেজের মূল ফটকে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
তিতুমীর ঐক্যর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা; শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন।
বাকি দাবিগুলো হলো- ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিভাগ আইন ও সাংবাদিকতা সংযোজন; একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ; শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ; আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
দীর্ঘদিন ধরে এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ২০২৪ সালে এসে তারা জোরালভাবে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দাবি উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রণালয় থেকে বারবার তাদের আশ্বাস দিলেও চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই তিতুমীর ঐক্যের ডাকে আমরণ অনশন কর্মসূচি ডাক দিয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমরণ অনশন
এছাড়াও পড়ুন:
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের অনশন চলছে
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য শিক্ষার্থীরাও সেখানে অবস্থান করছেন।
তিতুমীর ঐক্যর উপদেষ্টা নূর মোহাম্মদ বলেছেন, “গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি আমাদের কোনো বিষয়ে আশ্বস্ত করতে পারেননি। গত ৫ মাসে ফিজিবিলিটি টেস্টের নামে আমাদের সঙ্গে যে প্রহসন করা হয়েছে, আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা সাত দফা দাবিতে অনড়।”
নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের এই অনশন কর্মসূচির ৪১ ঘণ্টা হয়েছে। কিন্তু, আমরা এখনো কোন আশানুরুপ ফল পাই নি। যদি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কোনো বার্তা না আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির বিষয়ে, পরবর্তী সময়ে আমাদের কর্মসূচি তিতুমীর ঐক্যের অফিসিয়াল পেজে জানিয়ে দেব।”
অনশনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “সড়ক ছেড়ে দিয়েছি জনদুর্ভোগ কমাতে। আমরা কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছি। যতক্ষণ না রাষ্ট্র আমাদের যৌক্তিক দাবির মর্যাদা দেয়, ততক্ষণ এ অনশন চালিয়ে যাব।”
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিতুমীর কলেজের সাত শিক্ষার্থী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম চিকিৎসাধীন আছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ঢাকা/উম্মে হাফছা/রফিক