বরগুনার সাথে সারাদেশে বাস চলাচল শুরু
Published: 29th, January 2025 GMT
সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর বরিশালে বাস-শ্রমিক মালিক ও জেলাপ্রশাসকের সাথে বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিকরা। এরপর থেকেই বরগুনা-ঢাকাসহ বরগুনার সাথে সারাদেশের বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে সাতটায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা বাস মালিক- শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কবির হোসেন।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বরগুনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারগুলো।
ইমরান পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বাপ্পি মিয়া বলেন, “সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে সাতটার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর থেকেই যাত্রীদের ভিড় দেখা দিয়েছে। রাত সাড়ে আটটা থেকে প্রথম সারাদেশের বাস চলাচল শুরু হবে।”
বরগুনা বাস মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, “বরিশালে নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক শেষে প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর আমরা বরিশাল বিভাগের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। রাত সাড়ে আটটা থেকে সারাদেশে বাস চলাচল শুরু হবে। টিকিট বিক্রি চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাস শ্রমিক ও বাসের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘট দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছিলাম সকাল থেকে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের জান-মালের স্বার্থে ধর্মঘটের বিকল্প ছিল না। তারপরও যাত্রী ভোগান্তির কারণে আমরা ক্ষমা চাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, বরগুনা-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন অন্তত দেড় শতাধিক বাস চলাচল করে।
ঢাকা/ইমরান/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ