ঢাকাকে উড়িয়ে কোয়ালিফায়ারে তামিমদের বরিশাল
Published: 29th, January 2025 GMT
বিপিএলের চলতি আসরে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসান সোহানের দল টানা ৮ ম্যাচে জিতলেও তাদের আগে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বুধবার ঢাকা ক্যাপিটালসকে মাত্র ৬.৩ ওভারে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল।
এ নিয়ে চলতি বিপিএলে ১১ ম্যাচ খেলে ৯ জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে তারা। সেটাও এক ম্যাচ হাতে রেখে। বরিশাল ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে। ৩ ফেব্রুয়ারি খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার।
চলতি বিপিএলে ১১ ম্যাচে ৮ জয় পাওয়া রংপুরের সামনে কেবল ৯ ম্যাচে জয়ের সুযোগ আছে। রংপুর বৃহস্পতিবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশালের সঙ্গী হবে। অবশ্য চট্টগ্রাম ২ ম্যাচের একটিতে হারলেও কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হবে সোহানদের। বাকি দুই দল খেলবে এলিমিনেটর।
বুধবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫.
জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে জয় পায় বরিশাল। আউট হওয়া তাওহীদ হৃদয় ৯ বলে ১৫ রান করেন। তামিম ১৪ বলে হার না মানা ২১ রান ও ডেভিড মালান ১৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ত ম ম ইকব ল ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়ের সেঞ্চুরির ফিফটি, মোহামেডান-আবাহনীর জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। তাদের জয়ের দিনে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও। এই সেঞ্চুরিতে বিজয় একটি রেকর্ডও গড়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
বিকেএসপিতে তাদের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসানের ৫২, তানজিদ হাসানের ৬৮, আফিফ হোসেনের ৩২ ও আকবর আলীর ২৯ রানে ভর করে ৩৯.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
গাজী গ্রুপের শেখ পারভেজ জীবন ৭ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ওয়াসি সিদ্দিকী নেন ২টি উইকেট।
আরো পড়ুন:
মোহামেডানে খেলবেন মোস্তাফিজ
শীর্ষে এনামুল-রাকিবুল
রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। বিজয়ের ইনিংসে ১০টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া সালমান হোসেন ইমন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ ও সাদিকুর রহমান করেন ৩৬ রান। ম্যাচসেরা হন বিজয়।
এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রণী ব্যাংক আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ৪১, অমিত হাসানের ৪০, ইমরানুজ্জামানের ৩৮ ও মার্শাল আইয়ুবের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪২ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তোলে।
বল হাতে মোহামেডানের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। এবাদত হোসেন ৮ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর মোস্তাফিজুর রহমান ৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের ১০০ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা অনবদ্য ১২২ ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৬.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে।
মোহামেডানের ৩টি উইকেটই নেন অগ্রণী ব্যাংকের আরিফ আহমেদ। ম্যাচসেরা হন মোহামেডানের রনি।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ রানের দারুণ জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তারা আগে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ৮৩, মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৫, জিশান আলমের ২৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অলআউট হয়।
বল হাতে গুলশানের রায়হান আলী ইকরাম ও ফরহাদ রেজা ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান।
জবাব দিতে নেমে নিহাদুজ্জামান ৭৩ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৫০ ওভারে তারা অলআউট হয় ২২৮ রানে।
নিহাদুজ্জামান ছাড়া সাকিব শাহরিয়ার ৪২, শাহাদত হোসেন সবুজ ৩৫ ও মেহেদী হাসান ২৫ রানের ইনিংস খেলেন।
বল হাতে আবাহনীর এসএম মেহরব, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।
৮৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন আবাহনীর ইমন।
ঢাকা/আমিনুল