গত বছরের ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের পর বুধবার প্রথম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে আসেন সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এ সময় তাকে বাফুফে সভাপতি তাবিথ তাকে নিজের চেয়ারে বসতে বলেন।

২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল; টানা চার মেয়াদে যে রুমে বসে ফুটবলের কার্যক্রম চালিয়েছেন, বুধবার নিজের সেই প্রিয় কক্ষে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিংবদন্তি এ ফুটবলার। তার আগমনের দিনে বিশেষ একটা কারণে বর্তমান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ছিলেন যুক্তরাজ্যে। 

দুই মেয়াদে সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাবিথের। তাই বাফুফের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন ফেডারেশন ভবনে আসর পরই তাকে ফোন করেন তাবিথ। এই সময় তাকে ফোনে সভাপতির চেয়ারে বসার জন্য বলেন তাবিথ।

সেখানে উপস্থিত বাফুফের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘সালাউদ্দিন ভাই আসার পরই তাবিথ ফোনে কথা বলেছেন। সাবেক সভাপতির প্রতি সম্মান রেখে তাবিথ নিজের চেয়ারে বসতে বলেন সালাউদ্দিনকে। ধন্যবাদ জানান সালাউদ্দিন, তবে সভাপতির চেয়ারে বসেননি তিনি। প্রায় ৩ ঘন্টার মতো ফেডারেশনে ছিলেন তিনি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ব থ আওয় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ