ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
Published: 29th, January 2025 GMT
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘‘জনগণের আস্থা নষ্ট হয়, এমন কাজ করা যাবে না।’’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ, যশোর ও নড়াইল জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্র্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। ৩১ দফার মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষের শুভ পরিবর্তন ঘটাতে চাই, যেটি মানুষ প্রত্যাশা করে। এই পরিবর্তন কোন জাদু বা ম্যাজিক নয় যে, বলব আর হয়ে যাব। এজন্য জনগণের আস্থা ধরে রাখার জন্য নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তাই আমাদের ভাবনায় শুধুই জনগণ, জনগণ ও জনগণ। শুধু তাই নয়, এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সকল জুলুম নির্যাতনের প্রতিশোধ নেব। আমি প্রতিবারই বলছি, সামনের পথ মোটেও মসৃণ নয়। বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের আস্থা নষ্ট হয়, এমন কোন কাজ করা যাবে না। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে দলের নেতাকর্মীদের এক থাকতে হবে। বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’’
আরো পড়ুন:
জামায়াত-বিএনপির মধ্যে কোনো সংঘাত নেই: দুদু
বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও গত ১৬ বছর গুম-খুনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘যারা আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন, তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে। তালিকা করে শহীদ ও আহতদের খোঁজখবর নেওয়া হবে। আমরা বিগত দিনগুলোতে দলীয়ভাবে এসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজ করার চেষ্টা করব। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নিজ নিজ এলাকার সরকারি স্থাপনার নামকরণ করা হবে।’’
তারেক রহমান বলেন, ‘‘বিএনপি একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিয়ে নিজে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। আবার দেশ পরিচালনায়ও তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মানুষকে সংগঠিত করে কীভাবে দেশ গঠন ও পরিচালনা করতে হয়, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই দেশের প্রতিটি কমবেশি নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপিকে মানুষ ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পাঠিয়েছে। এটি বিএনপির সবচেয়ে বড় অর্জন। যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করাও এই ঈমানের মধ্যে পড়ে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা খুন-গুম, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জনগণের একটি বিশাল অংশ বিশ্বাস করে, আগামীতে দেশের যদি ভালো কিছু হয়, সেটা বিএনপির দ্বারাই হবে। স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ গঠনে নিজেই মাঠে ঘাটে হেঁটে হেঁটে কাজ করেছেন। আমরা শহীদ জিয়ার সেই নীতি নিয়ে কাজ করতে চাই।’’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি ৭১ সালে একটা দল মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে দেশ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গিয়েছিল। আরেকটি দল মহান মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বিএনপি এমন একটি দল, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তীতে দেশ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করেছে।’’
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি। পুরো জাতি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। জনগণ বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে আমাদের সকল নেতাকর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।’’
তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘‘বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। দেশের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কারণ, বিএনপি জনগণের দল। নিজেদের জনগণের আস্থায় নিয়ে যেতে হবে। নিজেদের শুধরাতে হবে। দেশের প্রতিটি খাত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার। আগামীর সরকারের জন্য দেশ চালানো হবে এক চ্যালেঞ্জ। কাজেই, আগামীতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরতে পারবে না।’’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণ করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সকল প্রতিশোধ নেব। আমি মনে করি, ৩১ দফার বাস্তবায়নই বড় প্রতিশোধ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। এজন্য আমাদের দায়িত্ব অন্য দলগুলোর চেয়েও বেশি।’’
তারেক রহমান বলেন, ‘‘পলাতক স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের প্রশ্রয়ে কিছু মানুষ ঋণের নামে ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। বর্তমান সরকার ব্যাংকগুলোকে আইন ও ব্যাংকিং নীতির আলোকে ঢেলে সাজানোর কাজ করছে। এখানে বড় চ্যালেঞ্জ, জনগণ ও গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরাতে সরকার কাজ করবে। আমরাও এটা নিয়ে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’’
তিনি বলেন, ‘‘পলাতক স্বৈরাচারের দলীয় আদর্শের না হওয়ায় লাখ লাখ যুবক চাকরি পায়নি। বিএনপি সেই সকল যুবকদের নিয়ে চিন্তা করছে। পতিত স্বৈরাচারের দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি পরিবারে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব। যে কার্ডের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত পণ্য প্রতিটি পরিবারের মাঝে যেন পৌঁছে দিতে পারি।’’
তারেক রহমান বলেন, ‘‘আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ নারী। নারীদের সুরক্ষার জন্য দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়া হবে। নারী শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের নারীরা এখন সচেতন। এখন নারীদের দৃঢ়ভাবে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘পলাতক স্বৈরাচার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এর পেছনে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের স্বার্থ জড়িত ছিল বলে ধারণা করা যায়। আমরা স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব। কারণ, স্বনির্ভর দেশ গড়তে সুস্থ-সবল নাগরিকের গুরুত্ব অনেক বেশি।’’
‘‘২০১৪ সালে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম, ৫ শতাংশের বেশি কোটা থাকা উচিত নয়। ফ্যাসিস্ট সরকার কোটাপ্রথার লাগামহীন ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় লোকজন নিয়োগ দিয়েছিল। বিএনপি সেটা করবে না। আমি বারবার বলেছি, কোটা নয় মেধার মূল্যায়ন করা হবে। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্তরা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা বসে নেই। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান করা হবে।’’
৩১ দফা নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অপ্রয়োজনীয় খরচ যদি কমানো যায়, দুর্নীতি রোধ করা গেলে বেকার ভাতাসহ অন্যান্য খাতে ভাতা ব্যবস্থা চালু ও ভাতা বৃদ্ধির করা সম্ভব। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করব।’’
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
ঢাকা/নাজমুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন র ষ ট র ক ষমত য় ন ত কর ম দ র ব এনপ র স ষড়যন ত র দ শ গঠন র রহম ন ক জ কর র জন য পর ব র ব স কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
১২নং ওয়ার্ড কমিটিতে ফ্যাসিবাদী দোসরের জায়গা হবে না : সজল
বিগত সাড়ে ১৫টি বছর আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি কোনদিন চিন্তা করতে পারিনি যে এই ১২ বার একাডেমী স্কুলে আমরা যুবদলের কর্মী সভা করবো। আল্লাহ আমাদের রহমত করেছে এদেশের ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ১২নং ওয়ার্ড যুবদলে আমাদের সাংগঠনিকভাবে দুর্বলতা আছে।
আমাদের সাংগঠনিকভাবে যুবদলকে শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু অতীতে এখানে যারা ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসররা ছিল তারা কিন্তু জনগণের মেন্ডেট নিয়ে ছিল না। বার একাডেমিতে খানপুরবাসী বারবার ভোট দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করেছিল। ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এই স্কুল থেকে কোনদিনই জয়লাভ করতে পারেনি।
একক প্রার্থী হিসেবে সিল মেরে তারা একাডেমি স্কুলের তারা যে বিগত সাড়ে ১৫ বছর জয়লাভ করেছে। এর আগে কখনও এই স্কুলে বিএনপির ভোট সব সময় বেশি ছিল। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির কোন ভোট ছিল না খুবই নগণ্য ছিল। খানপুরবাসী বিএনপি'র পক্ষে আছে। খানপুরের মুষ্টিময় কিছু লোকজন ব্যবহৃত হয়ে মানুষকে জুলুম নির্যাতনের নির্যাতন করেছে । আমরা সেই নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ১২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। শনিবার (১ মার্চ) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর বার একাডেমী স্কুল মাঠে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় সজল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আজকে যে কথা বলতেছি আপনাদের সাথে কথা বলতেছি কারণ আমরা আপনাদেরকে উজ্জীবিত করতে চাই। আমরা জানতে চাই আপনাদের মাঝে কারা পরীক্ষিত লোক, কারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে । এই ১২নাম্বার ওয়ার্ডে জানতে চাই কারা বিগত সময়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল।
১২নং ওয়ার্ড কমিটিতে ফ্যাসিবাদী দোসরের কেউ জায়গা পাবে না। যদি কেউ ঢুকতে চায় কেউ আমাদের কর্মীদের মাঝে মিশতে চায় আপনারা বলবেন এই কর্মী ফ্যাসিবাদী শক্তির সাথে ছিল আমাদের যুবদল করতে চায় আমরা তাকে যেনো কোনো সুযোগ না পায় সেই ব্যবস্থা করব। যারা রাজপথে আমাদের কষ্ট করেছেন তাদের অবশ্যই আমরা মূল্যায়ন করতে চাই।
কিন্তু বর্তমান যে পরিবর্তন ভাষা বুঝে কিন্তু আপনাকে রাজনীতি করতে হবে। জনগণের সাথে মিলিয়ে কিন্তু আপনার রাজনীতি করতে হবে । কারণ জনগণের চাওয়া পাওয়ার উপরে কিন্তু আপনার রাজনীতি আপনারা যেই ধরনের রাজনীতি করেছে বাংলাদেশ। কোন চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী জাতীয়তাবাদী যুবদলের জায়গা হবে না।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের একজন কর্মী বলেছেন বিগত সাড়ে ১৫ বছর আমরা ভোট দিতে পারেনি। কিভাবে আপনারা ভোট দিবেন আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা সাড়ে ১৫বছর আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকারের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
মানুষের ন্যায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বিষয়ে উনি ইসলাম সজল বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে।
আন্দোলনে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের মুখে শুনেছি আমরা যখন আন্দোলন করেছি তখন কিন্তু কোন দল গঠন হবে সেই চিন্তা করে আন্দোলন করি নাই। লোভ লালসার পিছনে পড়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি নাই।
কারণ সরকার বিরোধী আন্দোলন সব শ্রেণীর মানুষের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল। সব শ্রেণীর মানুষ যখন সম্পৃক্ততা হয় না তখন কোনদিন কোন অভ্যুত্থান হয় না। কারো একক দাবি, চিন্তা ও শক্তির বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয় নাই।
এদেশের স্বাধীনতার পিছনে যেমন মায়েদের ভূমিকা আছে, তেমনি তার সন্তানের ভূমিকা আছে, ছাত্রদের ভূমিকা আছে একজন পিতার ভূমিকা আছে একজন সামরিক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা যারা রিটার তাদের ভূমিকা ও আছে।
তখন এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে । কারণ শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সাড়ে ১৫বছর হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে এই দেশের অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। অনেক ভাইয়ের বোনকে হারিয়েছে, অনেক স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে। শেখ হাসিনা বিনা ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যারাই প্রতিবাদ করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই যে শক্তি নতুন দল গঠন করা হলো এই দলের পিছনে কারা পৃষ্ঠপোষকতা আছে এদেশের জনগণ জানতে চায়। এদেশের জনগণ জানতে চায় কিভাবে মানিক মিয়া এভিনিউর মতো জায়গায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে সারা বাংলাদেশ থেকে লোক জমায়েত করেছে এই লোক জমায়েতের অর্থের উৎসব এদেশের জনগণ জানতে চায় তাদের। তাদের উদ্দেশ্য কি তা তাদেরকে প্রকাশ করতে হবে।
আমি বলতে চাই আপনারা ভালো চিন্তা করে রাজনীতি করেন অবশ্যই আমাদের দলের নেতা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেব যেভাবে আপনাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা আপনাদেরকে স্বাগত জানাতে চাই কিন্তু।
আপনারা এই ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদের রক্তের উপর ভর করে আপনারা কোন রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অপকর্ম ও ক্ষমতার চিন্তাভাবনা আমাদের পক্ষ থেকে বারণ করা হচ্ছে।
কারণ আমরা বলতে চাই কালকে শহীদ সাঈদের ভাই কালকে কিন্তু প্রত্যেকে টিভিতে বলেছে আমাদের ভাইদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতার যুদ্ধের সৃষ্টি হয়েছিল যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছিল সেই দল গঠন কিন্তু আমি এবং আমার পরিবারের কাউকে দাওয়াত করা হয়নি।
আমরা কি বলতে পারি যারা শহীদের যে রক্তের বিনিময় যেই দল সেই স্বাধীনতা হয়েছে সেই স্বাধীনতার অপব্যখ্যা আপনারা দিচ্ছেন অপচিন্তা করছেন অপরিকল্পনা করছেন। মানুষের হৃদয়ের কথা শুনতে এবং মানুষ যদি আপনাদের আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে ইনশল্লাহ আমরা নেব কিন্তু মানুষ ভোট না দিয়ে জোর করে কোন অপর চিন্তা করলে সেটা আমরা কিন্তু ক্ষমা করব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেভাবে চিন্তা করবেন আপনাদের কিন্তু সেই ভাবেই রাজনীতি করতে হবে। আপনারা আমি কেউ কিন্তু এই দলের বাইরে না। এই দলের প্রধান তারেক রহমান সাহেব এদেশের মানুষের ধারণ করে মানুষের হৃদয়ের কথা বোঝার চেষ্টা করছেন। আপনাদেরকে বিপদ আপদ সুখ-দুঃখ মানুষের কাছে যেতে হবে।
আপনি খবর নেবেন আপনার পাশের বাড়ির ভাইটি ঠিকমতো আছে কিনা সে ভালোভাবে চলতে পারছে কিনা। এইসব খোঁজখবরও আপনি নিবেন আপনি যদি তাকে টাকা দিয়েন না উপকারও করতে পারেন কথা দিয়ে অন্তত থাকে আপনি কনটেস্ট করার চেষ্টা করবেন।
ভোটের মাধ্যমে কিন্তু জয়লাভ করতে হবে জনগণের ভোটের বাইরে আমাদের নেতা তারেক রহমান অন্য কোন চিন্তা কোনদিন করে নাই ।
জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যাকেই নেতৃত্ব যাকে নির্বাচিত করবে সেই আপনাদের আগামী দিনের নেতা হবেন আমি। জনগণ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন আমাদের সহযোদ্ধা ভাইরা যদি কষ্ট পায় তাদের বলতে চাই আপনারা নিজেদের পরিবর্তন করেন আপনারা মানুষের চাওয়া পাওয়ার নির্ভর রাজনীতি হবে।
সমস্ত কর্মকাণ্ড এই জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য তারেক রহমান সাহেব ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে আমরা মানুষের কাছে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিব ।