সবার সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতি কমিয়ে আনতে পারব: দুদক চেয়ারম্যান
Published: 29th, January 2025 GMT
সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুল মোমেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো একটা ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠিত হোক। সেই ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ যদি গঠিত হতে হয়, সেক্ষেত্রে দুর্নীতি একেবারে নির্মূল হবে এখনো সেটা মনে করি না; দুর্নীতি সেই পুরনো আমলেও ছিল, অদূর ভবিষ্যতেও থাকবে কিন্তু আমরা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারব। তার জন্য দরকার হচ্ছে আমাদের সদিচ্ছা।’’
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আজকে আমি আপনাদের সবাইকে বলব, আপনারা সবার আগে লক্ষ্য রাখবেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে আপনাদের সঙ্গে আমরা যারা কাজ করছি, আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত কি-না? এটা যদি নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে মনে করবেন যে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেবাদাতা এবং সেবাগ্রহীতার কথা বলি, সংকটটা সেবাগ্রহীতাকে নিয়ে নয়, সেবাদাতাকে নিয়ে। সেবাগ্রহীতার প্রত্যাশা থাকতেই পারে কিন্তু সেবাদাতা কতটা সদিচ্ছা রাখেন সেবা দিতে, সেটাই হচ্ছে বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা যদি ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে আমাদের ক্ষমতার প্রয়োগটা, ক্ষমতা আমরা যেটাকে অনুভব করি, সেই প্রয়োগটা আমাদের কমিয়ে আনতে হবে।’’
দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দুদকের চেয়ারম্যান।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে গণশুনানি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার মিঞা মো.
এছাড়াও কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান এবং সকল সরকারি দপ্তরের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।
এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।