সিলেটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নিহত সানি আহমদ নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

আদালতের নির্দেশে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। 

গত বছরের ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে গোলাপগঞ্জে গুলিতে নিহত হন সানি। পরে উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের শীলঘাট নিজ গ্রামে তাকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়।

নিহত সানির বাবা কয়ছর আহমদ বলেন, ‘‘সঠিক ও ন্যায় বিচারের আশায় আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।” 

বুধবার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক ইফতেখার আহমদসহ থানা পুলিশ ও সিআইডির টিম উপস্থিত ছিল।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান গোলাপগঞ্জ উপজেলার শীলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সানির বাবা বাদি হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ২৭ আগস্ট গোলাপগঞ্জ থানায় একটি এবং ১১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে অপর একটি মামলা থানায় রেকর্ড হয়।

ঢাকা/নূর/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ল পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পেরেক-গাঁথা কাঠ দিয়ে পেটানো হয় দুজনকে

অস্ত্রের মুখে দুজনকে অপহরণের পর নিয়ে যাওয়া হয় গহিন পাহাড়ে। এরপর সেখানে তাঁদের পেরেক-গাঁথা কাঠ দিয়ে পেটানো হয়। অপহরণকারীরা সেই নির্যাতনের ভিডিও আবার পাঠিয়েছেন অপহৃতদের পরিবারের কাছে। কক্সবাজারের টেকনাফে ঘটেছে এমন ঘটনা।

নির্যাতনের শিকার দুজনের নাম আহমদ উল্লাহ (৪৮) ও জসিম উদ্দিন (১৮)। গতকাল শুক্রবার বিকেলে দুজন অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পান। তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়। দুজন ওই এলাকারই বাসিন্দা।

ওই দুই ব্যক্তি অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, মুক্তিপণ আদায় করার বিষয়ে তাঁরা অবহিত নন।

ভুক্তভোগী আহমদ উল্লাহ প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে তাঁরা দুজন অপহরণের শিকার হন। অপহরণকারীরা চার দিন তাঁদের পানি ছাড়া কিছুই খেতে দেননি। দফায় দফায় তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুজন অপহৃত হওয়ার পর গত বুধবার তাঁদের স্বজনদের কাছে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে দুজনকে ছাড়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আহমদ উল্লাহর স্বজনেরা ৬ লাখ টাকা দেন। জসিম উদ্দিনের স্বজনেরা ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেন। তবে মুক্তিপণের টাকা কোথায়, কীভাবে দেওয়া হয়েছে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য স্বজনেরা জানাননি।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, মুক্তিপণ আদায়ের পর অপহৃত দুজনকে জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের সারা শরীরে নির্যাতনের জখম ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়ে পুলিশ অবহিত নয়। তবে অপহৃত দুই কৃষকের ফিরে আসার কথা স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে শুনেছেন। ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুলি ছুঁড়ে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে গরু লুট
  • ওসির বাড়িতে গরু চুরি, পালানোর সময় গুলি ছোড়ে চোর
  • ফ্রান্সে বাংলাদেশ কমিউনিটির ইফতার মাহফিল
  • পিএসসির সাত সদস্য শপথ নিলেন
  • পেরেক-গাঁথা কাঠ দিয়ে পেটানো হয় দুজনকে
  • পিএসসির নতুন সদস্যদের শপথ কাল
  • ঢাবি গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী
  • অনুবাদকেরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন: আলী আহমদ 
  • গজারিবনে পড়ে ছিল চালকের রক্তাক্ত লাশ, আধা কিলোমিটার দূরে অটোরিকশা
  • ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন প্রত্যাহার