সরকারি চাকরিজীবীদের টাকা জমা রেখে সঞ্চয়পত্র থেকেও বেশি মুনাফা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রেখে সঞ্চয়পত্রের থেকেও বেশি হারে মুনাফা পাবেন। এই দুই তহবিলে টাকা রেখে সরকারি কর্মচারীরা সর্বনিম্ন ১১ এবং সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাবেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জিপিএফ এবং সিপিএফের মুনাফার হার নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপ-সচিব মিতু মরিয়ম।

সরকারের রাজস্ব খাত থেকে যারা বেতন পান, তারা টাকা রাখবেন সাধারণ ভবিষ্য তহবিলে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখবেন প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জিপিএফ মুনাফার হার ছক আকারে স্লাব অনুযায়ী নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মোট তিনটি স্লাব রাখা হয়েছে। তিন স্লাব মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১, ১২ ও ১৩ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও জিপিএফ এবং সিপিএফের মুনাফার হার ও স্লাব একই ছিল।

স্লাব অনুযায়ী, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে ১৩ শতাংশ হারে মুনাফা মিলবে। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ জমা রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ ১ টাকা বা তার বেশি জমা রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১১ শতাংশ হারে।

এতে সিপিএফের বিষয়ে বলা হয়েছে, সব সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠানের (স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, করপোরেশন ইত্যাদি) আর্থিক সঙ্গতি এক রকম না হওয়ায় সংস্থাগুলোর নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধানের আলোকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের স্লাবভিত্তিক মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ ধরে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মুনাফা হার নির্ধারণ করতে পারবে।

এদিকে, সম্প্রতি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার বাড়িয়েছে সরকার। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হয়েছে।

মুনাফার হার বাড়ানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট।

সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।

পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

এ ছাড়া, পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে। ছয় মাস পর জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগের মুনাফার হার পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। তবে, বিনিয়োগকারী ইস্যুকালে বিদ্যমান মুনাফার পর বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদে পাবেন। 
অর্থাৎ, ছয় মাস পর নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হলেও জানুয়ারি-জুন সময়ে যে মেয়াদ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা হবে, সেই সময় পর্যন্ত এখন যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।

জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

এদিকে, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ; পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পেস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরারা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। 

পরিবার সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। 

পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

ঢাকা/হাসনাত/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম ধ প র ব ন য় দ ব ত য় বছর চ বছর ম য় দ প রথম বছর ত ত য় বছর জ প এফ প এফ র স প এফ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আটক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যে সংযোজন- বিয়োজনসহ বায়োমেট্রিক জালিয়াতির অভিযোগে সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার উপ-পরিচালক তকবির আহমদ ও সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসে। রাতে অফিসে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ডাটা এন্টি অপারেটরকে দেখতে পায় তদন্ত কমিটি। তখন নথিপত্রসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে তারা দুর্নীতির তথ্য পান। বিশেষ করে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন-বিয়োজন এবং বায়োমেট্রিক জালিয়াতির প্রমাণ পায় তদন্তকারী দল। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুলিশকে কল দিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলমকে তাদের হেফাজতে দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচন কমিশনের তদন্তকারী দলসহ তারা সরেজমিনে গিয়ে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দুজনকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

জগন্নাথপুর থানার ওসি রুল আমীন বলেন, দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় পরিচয়পত্র টেম্পারিং, বাবাসহ ২ মেয়েকে কারাদণ্ড
  • জগন্নাথপুরে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন গ্রেপ্তার
  • সুনামগঞ্জে নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আটক