নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল মেগা সিটি নামের অবৈধ আবাসন কোম্পানি জমি না কিনেই বসত ঘর ও ফসলি জমি দখল ও নিজেদের দাবী করার প্রতিবাদ করায় নিরীহ বাসিন্দাদের উপর হামলা করে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম, বাড়ি ঘরে লুটপাটের  অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার পলখান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ভুক্তভোগী ও রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগকারী বাদী মামুন শেখ জানান, দাউদপুরের পলখান এলাকায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি মেগা সিটির নামে নিজেদের সাইনবোর্ডে দিয়ে দখলে নেয়ার প্রতিবাদ করার একই এলাকার বাছিরের ছেলে তুহিন( ৩২), ছমির উদ্দিনের ছেলে রিয়াদ ও নাহিদ, ওহাদ আলীর ছেলে বাবুল, আব্দুর  রহমানের ছেলে মাছুমসহ ফয়সাল,সোহাগ,মানিকসহ ২০/৩০ জনের  একটি সন্ত্রাসী দল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা ও লুটপাট করতে থাকে। এতে বাঁধা দিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ভাই মোশাররফ,মাসুমসহ একই পরিবারের ৪জনকে গুরুতর আহত করে। এ সময় মসজিদদের মাইকে হামলার ঘটনা জানালে গ্রামবাসি এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে ৯৯৯ এ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেন। পরে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  


এ বিষয়ে জানতে চাইলে  অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট সদস্য শাহীন আকন্দ মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতার জের ও রাজনৈতিক গ্রুপিং দ্বন্দ্বে ঘটেছে। উভয় পক্ষের হামলার ঘটনায় দু পক্ষেরই আহতের ঘটনা রয়েছে। আমাদের ৩ জন আহত হয়েছে।  


দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। 


এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ঘটনা তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।

ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ