হামলার শিকার হয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। গত ২৫ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানা এলাকার পাহাড়িচক গ্রামে অনুষ্ঠান করতে এমন ঘটনার মুখোমুখি হন ‘বস’ তারকা।
মূলত, অনুষ্ঠান শুরুর আগে স্টেজের পাশে থাকা নেতাজির মূর্তিতে মালা দেওয়ার অনুরোধ করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বিশ্বনাথ জুতা পরেই মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। জুতা শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে জটিলতার সূত্রপাত্র।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে বিশ্বনাথ বসু বলেন, “এসবের পর এক ঘণ্টা শো করি। কোনো অসুবিধাই হয়নি। স্টেজে উঠে নেতাজির কথা বলেছি। যে অর্গানাইজার নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি আসলে মাতাল অবস্থায় ছিলেন।”
আরো পড়ুন:
‘গানটা না থাকলে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য কতটা উঁচু হতো আমার ধারণা নেই’
বিচ্ছেদের পরও সিঁদুর পরে চর্চায় শুভশ্রীর বোন, তৃতীয় বিয়ের জল্পনা
অনুষ্ঠান শেষ করার পর বিশ্বনাথ বসুকে বলা হয়, ক্লাবের সেক্রেটারি আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। এ তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বনাথ বসু বলেন, “সেখানে আমাকে বলা হয়, আপনি জুতা পরে মালা দিলেন কেন? আমি বললাম, ভুল হয়ে গিয়েছে। আসলে খুব ক্লান্ত ছিলাম তো! তখন ক্লাবের ক্যাশিয়ার আমাকে ইশারা করে বলেন, ‘পয়সা দিয়ে নিয়ে এসেছি। কোথায় যাচ্ছেন? সবার সঙ্গে ছবি না তুলে যেতে পারবেন না।’ তারপরই অশান্তির শুরু।”
প্রাণে বাঁচার কথা স্মরণ করে বিশ্বনাথ বলেন, “ওই ক্লাবের লোকজন মৃত্যুদর্শন করিয়ে দিয়েছেন। দু’জন বাউন্সারও আটকাতে পারছিলেন না। গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। কিছুতেই গাড়িতে উঠতে দিচ্ছিল না। ওরা এতটাই রেগে ছিল যে, মেরেই ফেলত।”
এ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। এরই মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ