মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের নীতির সুফল জুনের মধ্যে পাওয়া যাবে: গভর্নর
Published: 29th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পলিসি কাজ করছে না বলে অনেকেই মনে করছেন। কিন্তু, বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেও পদক্ষেপ নেওয়ার পর ১০ থেকে ১২ মাস সময় লাগে সুফল পেতে। আমরা আশা করছি, আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পলিসির ভালো ফল পাওয়া যাবে।”
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দৈনিক প্রথম আলো আয়োজিত ‘ডিজিটাল লেনদেনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত ভ্যাট বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর বলেন, “রাজস্ব খাতে নানা ধরনের সংস্কার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম— কর ও শুল্ক অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। তা করতে দুই বছর থেকে তিন বছর প্রয়োজন। কর ও শুল্ক যদি পুরোপুরি অনলাইনে দেওয়া না যায়, তাহলে এ খাতে দুর্নীতি কমবে না, সম্ভব হবে না।”
তিনি বলেন, “রাজস্ব খাতে অনেক ধরনের সংস্কার দরকার রয়েছে। ইমিডিয়েটলি রাজস্ব খাতে বড় ধরনের সংস্কার সম্ভব হবে না। তবে, আমরা সংস্কার শুরু করব। পণ্য আমদানি থেকে উৎপাদন ও বিক্রি পর্যন্ত ভ্যাট ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। বর্তমানে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হচ্ছে, যা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি কম। ব্যাংকিং খাতে ন্যূনতম ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি হওয়া উচিত।”
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “আগামী বাজেটে একটা বড় পরিবর্তন দেখা যাবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতার ওপর জোর দিতে হবে। ব্যবসায়ী ছাড়াও যার যে কর আসে, সেটা দিতে হবে।”
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’