মধ্যরাতে যবিপ্রবির হলে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
Published: 29th, January 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসীয়ূর রহমান (শ.ম.র.) হলে মাদকসেবন বন্ধে ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে শ.
এদিকে, মাদক দমনে তিনজন সহকারী হল প্রাধ্যক্ষ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন শ.ম.র. হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. মজনুজ্জামান।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে যেখানে মাদক সেবন নিষিদ্ধ, সেখানে দিনের আলোয় কিভাবে সেবন করে, প্রশাসনের কাছে তার জবাব চাই। এ হলের পঞ্চম তলাসহ বিভিন্ন রুমে মাদক সেবন করা হয়। মাদকের গন্ধে রুমে থাকা যায় না। এগুলো হলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে “
তিনি বলেন, “প্রশাসন কেন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না? এন্টি ড্রাগ সোসাইটি আছে আমাদের ক্যাম্পাসে, তাদেরও কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। যতদ্রুত সম্ভব প্রশাসনকে এ মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, “মাদক সেবন করলে মানুষের কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এ মাদক মস্তিষ্ককে ধ্বংস করে দেয়। তাই আসুন আমরা সবাই মাদক থেকে দূরে থাকি।”
যবিপ্রবি এন্টি ড্রাগ সোসাটির সদস্য সচিব আরমান বলেন, “আমাদের কার্যক্রম নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে, তাই বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। আমাদের কাজ হচ্ছে মাদকের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। পাশাপাশি আমাদের প্রশাসনকে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান করা। হলে মাদক সেবন বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
তিনি বলেন, “আমরা বরাবরই বলে আসছি শিক্ষার্থীদের নিদির্ষ্ট সময় পরপর ডোপ টেস্ট করানোর জন্য। এটা করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক অনেকটাই নির্মূল হয়ে আসবে।”
ধূমপান-মাদকসেবন বন্ধের বিষয়ে শহীদ মসীয়ূর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. মজনুজ্জামান বলেন, “আমি কখনোই চাইব না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে যাক। হলে যেন কেউ মাদক সেবন করতে না পারে, এর জন্য আমি নতুন একটি কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, হলে মাদকসেবন দমন করার জন্য তারা কাজ করবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ হল প র গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।
এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।