আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাকিস্তান সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ইসলামাবাদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইসিসিআই)-এর সভাপতি নাসির মনসুর কোরেশির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই তথ্য জানান। খবর ডনের। 

বৈঠকে বাংলাদেশি হাইকমিশনার বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট শুরু হতে পারে, যা দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করবে।

তিনি আরো জানান, ঢাকা, করাচি ও লাহোরের মধ্যে কার্গো ফ্লাইটও শিগগিরই চালু হবে, যা বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক বিনিময়কে আরো সহজ করবে। 

আরো পড়ুন:

ঘরের মাঠে ৩৪ বছর পর উইন্ডিজের বিপক্ষে হারল পাকিস্তান 

মুলতানে অনেক রেকর্ডের দিনে পিছিয়ে পাকিস্তান 

এ সময় পাকিস্তানের সাথে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব জোরদার করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য অনলাইনে বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার সহজ প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরেন ইকবাল হোসেন।

বাংলাদেশি হাইকমিশনার জানান, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য সমৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগে স্বাক্ষর করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা তুলে ধরে।

ইসলামাবাদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাসির মনসুর কোরেশি জানান, তিনি সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করতে চান।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ