নোয়াখালীতে পলিথিন কারখানায় অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা
Published: 29th, January 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অবৈধ পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ১৪৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ও ৪২৫৭ কেজি পলিথিন তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের নিপু প্রিন্ট অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের হকার্স মার্কেটে নিপু প্রিন্ট অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির দায়ে প্রতিষ্ঠানের মালিককে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে মোট ৪ হাজার ৪০১ কেজি পলিথিন ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযানে নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
ঢাকা/সুজন/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীর ৪ গ্রামে রোজা শুরু
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রথম তারাবির নামাজ আদায় ও সাহরি খেয়ে পবিত্র রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের বাসিন্দারা। এই গ্রামগুলোতে প্রায় শত বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা-ঈদ পালন হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারাবি ও সাহরি খান গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। আজ শনিবার (১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা রেখেছেন তারা।
গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী সদর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।
আরো পড়ুন:
চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে রোজা শুরু
ছোলার দাম কমেছে কেজিতে ২৫ টাকা
জানা গেছে, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগেই রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আবদুল আজিম বলেন, “আমার বাড়িতে দরবার শরীফ। প্রতি বছর আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা শুরু করি। ঈদ একদিন আগেই পালন করি হোক সেটা ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা। আমরা সবাই আনন্দ করি এবং একে অন্যের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি।”
হাসেম নামে অপর একজন বলেন, “ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজ রাখি। আমরা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করি। আমরা পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তারাবির নামাজ আদায় করেছি। ভোররাতে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছি।”
রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে ঈদুল ফিতরের জামায়াতের ইমামতি করেন রহিমিয়া রশিদিয়া আল কাদেরিয়া দরবার শরীফ চট্টগ্রামের খাদেম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, “পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদ উদযাপন করি। রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে এটা উদযাপনের ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের বেশি হবে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ