বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী শ্রীদেবীরে মেয়ে খুশি কাপুর। নাক ও ঠোটের সার্জারির কারণে সম্প্রতি তাকে নিয়ে মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খুশি কাপুরকে নিয়ে যেসব বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে এবার তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন। 

নাকের সার্জারি, ঠোঁট ফিলারসহ একাধিক বিষয় নিয়ে এবার খোলামেলা কথা বললেন খুশি। জোয়া আখতার পরিচালিত ‘দ্য আর্চিস’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা নিয়ে কথা বলেন।

খুশি কাপুর বলেন, ‘আমার মনে হয় না এটা এত বড় ব্যাপার। আমি প্লাস্টিক সার্জারিকে খারাপ ভাবে দেখি না কখনোই। এটা আমার কাছে কোনও ব্যাপারই না। বরং যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ, আমি সেটাকে সাপোর্টও করি।’

তিনি জানান, ক্যারিয়ার শুরুর আগেই মানুষ তাকে নিয়ে নানা অনুমান করেছেন। নানা মন্তব্য করেছেন, যার বেশিরভাগটাই নেগেটিভ। তিনি এখন এসব সামলাতে শিখে গিয়েছেন। তাই তার খুব একটা যায় আসে না।

প্রসঙ্গত, খুশি ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুর এবং তার মা অভিনেত্রী শ্রীদেবী। তিনি মুম্বাইয়ের ইকোলে মন্ডিয়েল ওয়ার্ল্ড স্কুলে তার বিদ্যালয়-পাঠ সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তিনি নিউইয়র্ক সিটির নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমিতে এক বছরের অভিনয় কোর্স করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ