আমার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করতে তারা আমাকে নেয়, কনসার্টে বিস্ফোরক রূপম
Published: 29th, January 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গের একাধিক স্থানে চলছে ফসিলসের টানা কনসার্ট। ব্যান্ডটির কণ্ঠশিল্পী রূপমের ব্যস্ততা তাই সেই কনসার্ট নিয়েই। এরইমধ্যে আলোচনায় এলেন ভিন্ন প্রসঙ্গে। রূপমের দাবি, তার নাম ব্যবহার করে, তার জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি ব্যবহার করে সিনেমাকে হিট করানোর করার জন্যই তাকে গানে নিয়েছেন পরিচালকরা।
সম্প্রতি বর্ধমানে একটি উৎসবে গান গাইতে গিয়েছিলেন বাংলা রকসঙ্গীতের জনপ্রিয়তম শিল্পী রূপম ও তার ব্যান্ড ফসিলসের সদস্যরা। সেখানেই টালিউডের পরিচালকদের উদ্দেশ্য করে তাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলেন রূপম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ওই অশোকস্তম্ভের নিচে লেখা আছে ‘সত্যমেব জয়তে’। এইটা একটু মাথায় রাখবি। আমরা কিন্তু সেই দেশের নাগরিক। এখানে ফেসবুক রিল জেতে না। এখানে সত্য কথা জেতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে আমার মতো একটা লোক এতদিন ধরে আমার গান কেউ শুনবে না ভেবেও বারবার মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া অতিক্রম করেও এই যে গান লিখে গেল, গান গেয়ে গেল, সিনেমার কৃপাপ্রার্থী না হয়েও!’
বর্ধমানের মঞ্চে রুপম বলেন, ‘আমাকে পরিচালকদের কৃপাপ্রার্থী হতে হয়নি। তারা আমাকে নিয়েছে আমার নামটা ব্যবহার করার জন্য। আমার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করার জন্য তারা আমাকে নেয়। আমি অতিরিক্ত কোনো সুবিধা সেখান থেকে পাইনি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’