কাস্টিং কাউচ  এর আগেও বলিউডের অনেক বড় বড় তারকা মুখ খুলেছেন।  এবার সেই কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুললেন ‘দঙ্গল’ অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ। দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায় কীভাবে তাকে এই ধরনের ‘ফাঁদে’ ফেলার চেষ্টা হয়েছে সেই নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। 

বিনোদন ভিত্তিক ভারতীয় এক গণমাধ্যমে ফতিমা দাবি করেছেন, একজন এজেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হওয়ার সময় তাকে এমন সব কথা শুনতে হয়েছিল যা ছিল রীতিমতো অস্বস্তিদায়ক। তিনি বলছেন, ‘উনি আমাকে বলেছিলেন, আপনি সবকিছু করতে রাজি তো? শুনে আমি বলেছিলাম, অবশ্যই। চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করব। কিন্তু উনি সেদিকে না গিয়ে কেবল ইঙ্গিতপূর্ণ কথাই বলে চললেন। একটা সময় পর আমি নির্বাক হয়ে গিয়ে কেবল লক্ষ করছিলাম মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে!’

সেই সঙ্গেই হায়দরাবাদে এক প্রযোজকের সঙ্গে কথোপকতনের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন ফাতিমা। তার কথায়, ‘ওই প্রযোজক আমাকে বলছিলেন, তুমি তো জানোই তোমাকে লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে।” তখনও বলিউডে পা রাখেননি অভিনেত্রী। ভেবেছিলেন দক্ষিণী এই ছবির মাধ্যমেই ছবির জগতে প্রবেশ করবেন। কিন্তু প্রযোজকের এমন আচরণে তার মন ভেঙে যায়। ফাতিমা বলেন, ‘ওরা সরাসরি বলতেন না। কিন্তু ঘুরিয়ে নানা প্রস্তাব দেওয়া হত। মেলামেশা করতে হবে, এটা-ওটা করতে হবে এই সব।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ