ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সরকারি ব্যয় কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে এবার ফেডারেল কর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন সরকারের আকার ও ব্যয় কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০ লাখ বেসামরিক ফেডারেল কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছা পদত্যাগ প্যাকেজ চালু করেছে। 

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ বন্ধের আদেশ আটকে গেল আদালতে

ট্রাম্পের দাবি মেনে নিল কলম্বিয়া

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মার্কিন প্রশাসন তাদের লাখ লাখ কর্মীর কাছে ইমেইলে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কর্মীদের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা ‘পদত্যাগ প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে চান কিনা। যদি তারা এই তারিখের মধ্যে পদত্যাগ করতে সম্মত হন, তাহলে তাদের প্রায় ৮ মাসের বেতন এককালীন প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে।

ট্রাম্প প্রশাসন আশা করছে, প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন, যা প্রায় ২ লাখ কর্মীর সমান। মার্কিন সরকারে বর্তমানে ২০ লাখেরও বেশি কর্মী কাজ করছেন। ট্রাম্পের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে।

যেসব কর্মী এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে চান, তাদের ইমেইলের সাবজেক্ট লাইনে ‘রিজাইন’ লিখে রিপ্লাই করতে বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারের মানবসম্পদ সংস্থা অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের বার্তায় কর্মীদের ভবিষ্যতে ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে, যা তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে যারা থাকতে চান।

অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট তাদের কর্মীদের কাছে পাঠানো বার্তায় বলেছে, “আপনার পদ বা সংস্থার নিশ্চিততা সম্পর্কে আমরা আপনাকে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারি না। তবে আপনার পদ বাতিল করা হলে আপনার সঙ্গে মর্যাদার সাথে আচরণ করা হবে।”

পোস্টাল কর্মী, সামরিক বাহিনীর সদস্য, ইমিগ্রেশন অফিসার এবং কিছু জাতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের এই প্রস্তাবের বাইরে রাখা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় সরকারের আকার ও ফেডারেল ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ম দ র পদত য গ ল কর ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ