শেখ সাদী। সংগীতশিল্পী। গান নিয়ে চর্চায় থাকলে সাম্প্রতিক সময়ে পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে চর্চায় তিনি। বেশ ক’দিন ধরে পরীমণির সঙ্গে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ পরীমণির জামিনে তিনি জামিনদারও হয়েছেন। সাম্প্রতিক এই ইস্যু ও কাজের ব্যস্ততার নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

নতুন গানের খবর কী?
নতুন গান বলতে, গেল মাসে ডিজে রাহাত ভাইয়ের সঙ্গে পুরোনো একটি গান রিমেক করেছি। আগামী মাসে সেটা প্রকাশ পাবে। এ ছাড়াও গত মাসে আমার একটি নতুন গান মুক্তি পেয়েছে। গানটিতে বেশ সাড়াও পেয়েছি। আজ ‘কুফা’ শিরোনামে আমার নতুন একটি গান মুক্তি পাবে। ফাঙ্কি-পপ মিক্সড ধরনের গান এটি। আমার বিশ্বাস, এ গানটিও শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

ঈদে নতুন গান নিয়ে পরিকল্পনা কী?
ঈদের জন্য তো অবশ্যই পরিকল্পনা আছে। বড় পরিসরে ঈদে গান আসার কথা আছে। সেটা নিয়েই অলরেডি কাজ শুরু করেছি। তবে এখনই সেটা সম্পর্কে বলতে পারছি না। কিছুদিন পর সেটা জানাব।

আপনি গানের মানুষ, সিনেমার নায়িকা পরীমণির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হচ্ছে। সম্পর্কটা কীভাবে ঘটল.

..
একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে পরীমণির সঙ্গে বেশ আগেই পরিচয় হয়েছিল। আমরা একই সেক্টরে কাজ করি, সুতরাং পরিচয় তো হয়েই যায়। পেশাগত বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। নিয়মিত কথাবার্তাও হয়। এটা নিয়ে কিছু বলার তো কিছু দেখি না।

তাঁর সঙ্গে আদালতে গেলেন, জামিনদারও হলেন। ফলে পেশাগত সম্পর্কের বাইরেও নতুন সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হচ্ছে...
যেহেতু তাঁর সঙ্গে আমার অনেক দিনের পরিচয়। জানাশোনাও আছে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আদালতে গেছি। এখানে ভিন্ন কিছু ভাবার কারণ নেই। আরও একটু ব্যাখ্যা করে বলতে পারি, পরীমণি আমার সহকর্মী। তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর শুনে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তখন পরীমণির সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। জামিন হওয়ার পর তাঁর আইনজীবী একজন জামিনদার হন। আমিও আরেকজন জামিনদার হয়েছি। সেখানে উপস্থিত থাকার কারণেই এই জামিনদার হওয়া। 

তবে অনেকেই তো বলছেন, পরীমণির সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক। এটা কি সত্যি নয়? সত্য?
না, না, একেবারেই না। পরীমণির সঙ্গে আমার তো প্রেমের সম্পর্কে কিছু হতেই পারে না। পারিবারিকভাবে আমাদের বোঝাপড়া ভালো। আমাদের পরিবারের সদস্যরা তাঁর বাসায় যায়। পরীমণিও আমাদের বাসায় আসেন। পারিবারিক সম্পর্কের বাইরে তাঁর সঙ্গে প্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই। লোকে না জেনে না বুঝে আমাদের নিয়ে রিউমার ছড়াচ্ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ