বরগুনায় বাস ধর্মঘট, যাত্রী ভোগান্তি চরমে
Published: 29th, January 2025 GMT
বরগুনায় সকাল থেকে শুরু হওয়া বাস ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
এদিকে তুচ্ছ ঘটনায় বাস শ্রমিকদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাস মালিক ও শ্রমিকরা।
বরিশালগামী যাত্রী সাওদা জান্নাত বলেন, “বরিশাল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আমি। বাবা অসুস্থ তাই বাড়ি এসেছিলাম। এখন জরুরি যেতে হবে বরিশাল। কিন্তু বাস স্ট্যান্ড এসে দেখি ধর্মঘট চলছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকলে মাইকিং করে দেওয়া উচিৎ।”
ঢাকাগামী যাত্রী রেহানা কলি বলেন, “নলটোনা এলাকা থেকে দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য এসেছি। প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। কথায় কথায় অবরোধ, কথায় কথায় বাস ধর্মঘট। একটা স্বাধীন দেশে এটা কোন ধরনের সভ্যতা! শত শত যাত্রী ফিরে যাচ্ছে। এমন ভোগান্তি সমাধানে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।”
বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন সোহাগ রাইজিংবিডিকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ট্যাগ ব্যবহার করে শ্রমিকদের নির্যাতন করছে। তাদের মনঃপুত না হলেই সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করে শ্রমিকদের নির্যাতন করছে। আমরা এসবের স্থায়ী সমাধান চাই।”
তিনি আরো বলেন, “সব শ্রমিকরা হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমরা হাসিনা হটানোর আন্দোলনে অংশ নিয়ে তার অপব্যবহার করি না। শিক্ষার্থীরা সেটি করছে। সরকার আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে না।”
ঢাকা/ইমরান/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার দমনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ইতালি’
অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনসহ বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতালি সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাতে আসন্ন ৫-৬ মে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির বাংলাদেশ সফর, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহায়তা; পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইতালি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।” তিনি উল্লেখ করেন, ইতালিতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী কর্মরত আছেন, যারা রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে এই সংখ্যাটি আরো বাড়বে এবং দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
রাষ্ট্রদূত জানান, সফরকালে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক ও প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ৫ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হবে এবং একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উভয় দেশের সম্মতিক্রমে অবৈধ অভিবাসন রোধ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন এবং পুলিশ বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে ঘোষণা, সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বৈধ চ্যানেলে জনশক্তি রপ্তানিতে আগ্রহী। আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিপক্ষে এবং যারা দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মো. শামীম খান, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জসীম উদ্দিন খান এবং ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের অভিবাসন সংযুক্ত কর্মকর্তা জিউসেপ্পে দি জিওভান্নি উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ