চলাচল শুরু হলেও দেরিতে ছাড়ছে ট্রেন, ভোগান্তি
Published: 29th, January 2025 GMT
রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
তবে, প্রতিটি ট্রেনই স্টেশনটি ছাড়ছে নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব ট্রেন নির্ধারিত সূচিতে চলবে বলে আশা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।
পূর্ব রেলের ডিটিও আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সূচিতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’’
আরিফুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘‘ঢাকায় জরুরি কাজ আছে। আদৌ যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। মধ্যরাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের খবর পাই। এরপর ভোরে তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুতি নিয়ে স্টেশনে আসি। কিন্তু, এসে দেখি, ট্রেন সময়মত ছাড়ছে না।’’
বুধবার সকাল ৭টায় চট্টগ্রামের পুরাতন রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন, একই রুটে দ্বিতীয় ট্রেনটি ছেড়ে যায় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে।
এছাড়া, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম নতুন রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে চট্টলা এক্সপ্রেস, ৮টা ৪০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সুবর্ণ এক্সপ্রেস সকাল ৭টার পরিবর্তে ছেড়ে গেছে সকাল ৯টায়। শিডিউল বিপর্যয়ে দুর্ভোগ পোহালেও ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, সোমবার মধ্যরাত থেকে রেলের রানিং স্টাফদের অনিদির্ষ্টকালের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দাবি পূরণের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ মামলায় যেকোনো সময় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁর (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। এটা আদালতে আমরা প্রমাণ করব ইনশা আল্লাহ। সেটার ওপর বাকি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা অকাট্যভাবে প্রমাণ করব তাঁর অপরাধ।’
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে ব্যাপক কাজ করেছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে আসে নাই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।’
ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, কোনো মামলায় তদন্ত শেষে প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর পর্যালোচনা ও যাচাই শেষে সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর বা তাঁর কার্যালয়।
কবে নাগাদ শেখ হাসিনার মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে, তা জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে এখন। …যেকোনো সময় দাখিল হয়ে যাবে।’
গণ–অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলা (বিবিধ মামলা বা মিস কেস) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। যেখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় আগামী ২০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে, অন্যটিতে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।