পুরোপুরি বদলে যাওয়ার কারণ জানালেন দীপিকা
Published: 29th, January 2025 GMT
‘দীপিকা পাড়ুকোন আগের মতো নেই, নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন’– এমন কথা আজকাল বলিউডের অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছে। যারা এ কথা বলছেন, তাদের দাবি এ অভিনেত্রী এখন পুরোপুরি ঘরকুনো হয়ে পড়েছেন। তাই বিভিন্ন পার্টিতে আগের মতো দেখা মেলে না তাঁর। এমনকি ছুটির দিনেও তিনি ঘর থেকে বের হতে চান না।
বলিউড সতীর্থদের এই কথা যে একেবার মিথ্যা নয়, তা স্বীকার করেছেন দীপিকা নিজেও। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন বদলে যাওয়ার কারণ। তিনি বলছেন, ‘মাতৃত্ব নারী সত্তাকে অনেক বদলে দেয়। বহুকাল ধরে শুনে আসা এই কথা যে এক বিন্দু মিথ্যা নয়, নিজ অভিজ্ঞতা থেকে তা জানা হয়েছে। যার সুবাদে আমার উপলব্ধি পৃথিবীর অন্য মায়েদের থেকে আমি আলাদা নই।’
দীপিকার কথায়, ‘মেয়ে দুয়া যেমন আমার আত্মার অংশ, তেমনি পৃথিবীর বড় সম্পদ। যাকে ছেড়ে এক মুহূর্তের জন্য দূরে থাকতে ইচ্ছা করে না। তাই যে দীপিকাকে সবাই দিন-রাত ছুটে বেড়াতে দেখেন, হাসি-গান-আড্ডায় পার্টি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান জমিয়ে রাখতে দেখেন; সহজে আর তাঁর দেখা মিলবে না। কারণ এখন দুয়াকে ঘিরেই কাটছে আমার মুহূর্ত। মাতৃত্ব চুটিয়ে উপভোগ করছি। যার সঙ্গে অতীতের দীপিকাকে মেলাতে যাবে না।’
গত সেপ্টেম্বরে দীপিকার কোলজুড়ে এসেছে প্রথম সন্তান দুয়া। তবে এখন পর্যন্ত দুয়ার ছবি প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। তবে মাঝেমধ্যেই এই সময়টা কীভাবে কাটাচ্ছেন, তা ভাগ করে নেন সবার সঙ্গে। সেই সূত্রেই সবার জানার সুযোগ হয়েছে, মা হওয়ার পর নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছেন দীপিকা। একই সঙ্গে বদলে ফেলেছেন প্রতিদিনের কাজের রুটিন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’