সাবেক এমপিসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 29th, January 2025 GMT
২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক বিএনপি কর্মী হত্যার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের ৪৭ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “চলতি বছরের (২৬ জানুয়ারি) নিহত জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে কামারখন্দ থানা আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কামারখন্দ থানাকে এজাহারভুক্ত করে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
নিহত বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা.
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বদরুল আলম ও সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা জাহাঙ্গীর হোসেনকে মারধর, হত্যা ও গুম করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এ অবস্থায় ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাহাঙ্গীর হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান আসামিরা। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম বাদীকে ফোন করে জাহাঙ্গীরকে অপহরণের কথা জানান এবং তার মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন।
এক সপ্তাহ পর ৭ ও ৯ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় নবীদুল ইসলামকে ১০ লাখ টাকা দেন বাদী। এরপরও জাহাঙ্গীরকে মুক্ত করে দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ওভারব্রিজের নিচে জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একইদিন ঝাঐল ইউপির দফাদার শচীন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশি তদন্ত শেষে আসামি শনাক্ত না করেই আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। ঘটনার পরই বাদী মামলা দায়ের করতে চাইলে আসামিরা তাকেও হত্যার হুমকি দেওয়ায় ওই সময় মামলা দায়ের করতে পারেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।
ঢাকা/রাসেল/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ল ইসল ম স র জগঞ জ দ য় র কর কর ছ ন আওয় ম ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ইকরাম চৌধুরী। প্রতিদিনের মধ্যে আজও নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছিলেন ইকরাম। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় খারাপ অনুভব করেন ইকরাম। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিসিইউ ও আইসিইউতে রাখা হয়। রাখা হয় লাইফ সাপোর্টেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
২০১৪ সাল থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করছিলেন ইকরাম। বিভিন্ন সিরিজ, আইসিসি, এশিয়ার ইভেন্ট, বিপিএলে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাৎক্ষণিকভাবে শোক প্রকাশ করেছে 'সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা সমন্বয়ক ইকরাম চৌধুরী ইকরামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গভীর শোকাহত। সিলেটের একজন সুপরিচিত ক্রীড়া সংগঠক ইকরাম চৌধুরী ২০১৪ সাল থেকে বিসিবি'র নিরাপত্তা কমিটির সাথে কাজ করছিলেন। আজ দায়িত্ব পালনকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং আল হারামাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স ৫০ বছর ছিল। বিসিবি ইকরাম চৌধুরীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছে।'
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান
আগস্টে বাংলাদেশে আসছে ভারত ক্রিকেট দল
সিলেট/ইয়াসিন/নাভিদ