রাজশাহী-চট্টগ্রামের জন্যই কি এতো নিয়ম বিসিবির
Published: 29th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এক যুগ পেরিয়ে গেলেও বিতর্ক আর সমালোচনা যেন এর নিত্যসঙ্গী। খেলোয়াড়দের সময়মতো পারিশ্রমিক পরিশোধ না করায় চলতি আসরে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, যার মধ্যে দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগং কিংস সবচেয়ে আলোচিত।
বিশ্ব ক্রিকেটারদের সংগঠন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউসিএ) ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সংগঠনের প্রধান নির্বাহী টম মোফাট বিপিএল কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হতে বলেছেন।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিপিএলকে স্মরণীয় করে তুলতে চেয়েছিলেন। নাচ-গান, পাঁচতারকা হোটেলে মাসকট উদ্বোধন, তারুণ্যের উৎসব আয়োজনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে বিপিএল যতই জাঁকজমকপূর্ণ করা হোক, খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় রাজশাহী ও চিটাগং ফ্র্যাঞ্চাইজির কারণে আসরটি বিতর্কিত হচ্ছে।
যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের শফিকুর ও চিটাগং কিংসের সামির কাদেরকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিসিবি। তাদের সহায়তায় এবার প্রথমবারের মতো তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দলগুলোর জন্য ৬০ ও ৪০ লাখ টাকা পুরস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের প্রাইজমানিও ৫০ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।
এদিকে বিপিএলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দেওয়া হবে। তবে কী পরিমাণ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ
‘জোশ’, ‘আওয়ারা’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘দুই পৃথিবী’র মতো যেমন বাণিজ্যিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনই দর্শক তাকে দেখেছে ‘অসুর’, ‘রাবণ’, ‘মানুষ’-এর মতো ছকভাঙা চরিত্রে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই প্রযোজকের ভূমিকাও সমানতালে সামাল দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বাইশ বছর পার করেছেন নায়ক জিৎ।
এবার নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর সুবাদে বলিউডে অভিষেক ঘটল জিতের। এবার তিনি জানালেন, তার কাছে হিন্দির চেয়ে বাংলায় কাজ করাই নাকি বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে জিৎ বলেন, ‘এত বছর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমার কথা ভাবেনি। তবে আমি বরাবরই এখানে কাজ করতে চাইতাম কারণ আমি আদতে হিন্দিভাষী। আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিতে বাণিজ্যিক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের ১০-১৫ বছর ধরে বিনোদিত করা অভিনেতাদের মধ্যে খুবই কমই রয়েছেন, যারা ভালো করে হিন্দি বলতে পারেন। বাংলায় কাজ করাটাই আমার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, আমি হিন্দিতে ভাবি।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার একে-অপরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে একসঙ্গে নিজেদের মতো করে কাজ করেছি। তাই আমাদের সমীকরণ ভীষণই ভালো। ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর জন্য যখন একসঙ্গে কাজ করছিলাম, তখনও মনে হয়নি প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছি আমরা। সেটা আমাদের এত সহজ সুন্দর সমীকরণের জন্যই সম্ভব হয়েছে।”
হিন্দি ভাষী হলেও বাংলার দর্শকরা জিৎকে মনপ্রাণ ঢেলে আপন করে নিয়েছে। টালিউডে দু’ দশক কাটিয়ে তেইশ সালে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা।
জিতের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালের ১৪ জুন। হরনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে টালিউডে ‘বিজয়’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশ। সেই ‘সাথী’ বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিসে আজও অন্যতম মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে। টানা ২৫ সপ্তাহ হাউজফুল শো উপহার দিয়েছিল ‘সাথী’। ফিল্মি কেরিয়ারের গোড়াতেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন জিৎ। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘সাথী’র বিজয় থেকে টালিউডের ‘বস’ হয়ে উঠেছেন জিৎ।
গত ২ দশকে ৫৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ২০টির বেশি ব্লকবাস্টার এবং একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বলিউড ডেবিউ সিরিজ ‘খাকি ২’ চর্চার শিরোনামে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।