নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা  জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামে মাদকসেবনের টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে (৬৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মো. সুমনকে (৩৪) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুমন উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের কাজীমুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরও তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। ২০১৮ সালের ৩ জুন বিকেলে মাদকসেবনের জন্য টাকা চান তিনি। কিন্তু টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের মেয়ে হালিমা বেগম পাখি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ১১ জুন পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তাৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খলিলুর রহমান চৌধুরী। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আসামি অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় করেন।’

আসামিপক্ষে ছিলেন স্টেট ডিফেন্ড আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এমপি সারওয়ার কবীরের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর
  • টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি দুদক, দাবি আইনজীবীর
  • জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
  • তুরস্ক ও আরব আমিরাত সফরে প্রধান বিচারপতি 
  • নাটোরে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
  • নাটোরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
  • আইনজীবীকে কুপিয়ে ৫ মিনিটেই টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালাল ডাকাত দল
  • আ’লীগের কার্যালয়ে অস্থায়ী ছাত্রীনিবাস
  • চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি ৩০ এপ্রিল
  • বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন