ফতুল্লায় আতশবাজির আগুনে পুড়লো পলিথিন তৈরির কারখানা
Published: 29th, January 2025 GMT
ফতুল্লায় আতশবাজির স্ফুলিঙ্গ থেকে আল মদিনা ট্রেডার্স নামের একটি পলি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টায় ফতুল্লার লালপুর এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সোয়া ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানান, ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় নির্মাণাধীন মুক্তারপুর-পঞ্চবটি দ্বিতল সড়কের চায়না প্রকল্পের অভ্যন্তরে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণ আতশবাজি ফোটানো হয়। সেই আতশবাজির আগুন পাশের এলাকা লালপুরের একটি পলিথিন কারখানায় ছিটকে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই টিনশেড কারখানাটির চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
কারখানার মালিক সুমন মিয়া বলেন, আতশবাজির আগুনের স্ফুলিঙ্গ পড়ে কারখানার এক পাশে আগুন লাগে। ভেতরে পলিথিন তৈরির দানা, কাটুন ও সুতা থাকায় আগুন অল্পতেই ছড়িয়ে পড়ে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমাদের ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। সোয়া সোয়া ২টার দিকে আমরা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হই।
তিনি আরও বলেন, আশেপাশে পুকুর না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। আগুনে কারখানার মজুতকৃত পলি, কার্টন ও কাঁচামাল পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে। যতটুকু শুনেছি পাশের একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আতশবাজি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাপের বছর শুরু করলো এশিয়ার লাখ লাখ মানুষ
এশিয়াজুড়ে বুধবার লাখ লাখ মানুষ তাদের পরিবারের সাথে চন্দ্র নববর্ষ উদযাপন করছে। এবার তারা ড্রাগনের বছরকে বিদায় জানিয়ে সাপের বছর শুরু করেছে।
২০২৫ সালের বসন্ত উৎসবের জন্য চীনারা টানা আটটি সরকারি ছুটি উপভোগ করছে। এই ছুটিতে খাবার ভাগাভাগি করার, ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করার এবং আতশবাজি ও আতশবাজি পোড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে তারা।
দেশজুড়ে ট্রেন স্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। কারণ লাখ লাখ মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সাথে ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরেছে, বার্ষিক অভিবাসনে, যা একটি রেকর্ড হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ড সহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক অংশে, উঁচু রাস্তা, শপিং মল, অফিস এবং বাড়িগুলো উৎসবের লাল ব্যানারে সজ্জিত রয়েছে। এই রঙ মন্দকে দূরে রাখে বলে বিশ্বাস করে চীনারা।
স্থানীয় সময় বুধবার সকালে তাইওয়ানে সব বয়সের মানুষ মন্দিরগুলোতে ফল, মিষ্টি, পটকা এবং বাদাম উৎসর্গ করতে এবং মধ্যস্থতা ও প্রার্থনা করতে ভিড় জমিয়েছিলেন।
৩৬ বছর বয়সী চেন চিং-ইউয়ান তার মায়ের সাথে তাইপেইয়ের লংশান মন্দির পরিদর্শন করার সময় বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমাদের ঐতিহ্য হল মন্দির পরিদর্শন করা এবং এই বছরের জন্য আরো ভালো ভাগ্যের জন্য প্রার্থনা করা। নির্দিষ্ট কিছু চাওয়ার দরকার নেই, শুধু একটি মসৃণ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর বছর কামনা করুন এবং প্রার্থনা করুন যে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে কাটে।”
৭৩ বছর বয়সী লিন ইউ-সুন বলেন, তার পরিবারের সাথে লংশান মন্দির পরিদর্শন ‘প্রার্থনার সময় আমাদের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি দেয়।”
ঢাকা/শাহেদ