যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কল্যাণমূলক খাতে সহায়তা ও ঋণ প্রদানও সাময়িকভাবে বন্ধের আদেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট বিভগের পরিচালক ম্যাথিউ ভায়েথ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, 'প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ অনুসারে, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাষ্ট্রের অলাভজনক খাতগুলোতে অর্থ সহায়তা ও ঋণ প্রদান সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। আগামী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।' খবর : সিএনএন

বিদেশে সহায়তা প্রদান স্থগিতের পাশাপাশি  অভ্যন্তরীণ সহায়তা ও ঋণ প্রদানও সাময়িকভাবে বন্ধ হলো। তবে সামাজিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা পরিষেবা এবং সাধারণ পর্যায়ে লোকজনকে অর্থ সহায়তা প্রদান এ আদেশের আওতাভুক্ত হবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন ম্যাথিউ ভায়েথ।

মূলত মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নেই চলে জলবায়ু, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশসহ আরও নানা বিষয়ভিত্তিক প্রচুর সংখ্যক সরকারি বেসরকারি সংস্থা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রতি বছর এসব সংস্থায় লক্ষ কোটি ডলারের সহায়তা ও ঋণ প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার। ট্রাম্পের এ আদেশ এসব সংস্থার ওপর বড় আঘাত।

বিবৃতিতে ম্যাথিউ ভায়েথ বলেছেন, বিগত বাইডেন প্রশাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের আমলে যেসব সংস্থাকে অর্থ সহায়তা ও ঋণ প্রদান করা হয়েছিল, সেগুলোর যাচাই ও পর্যালোচনা চলছে। এটি শেষ হওয়ার পর এ ইস্যুতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মধ্যে বিদেশি সহায়তা প্রদান স্থগিত বিষয়ক একটি আদেশও ছিল। এই আদেশে স্বাক্ষরের কয়েক দিন পর অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সহায়তা প্রদান স্থগিত করলেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ