পটুয়াখালীতে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বরিশালে বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস মালিক সমিতি। এতে হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

শিহাব নামের এক পর্যটক বলেন, ‘‘গতকাল খুলনা থেকে কুয়াকাটায় এসেছি। দুদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, রাতে খবর পাই আমাদের এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই, সকালে হোটেল থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু, এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছাড়েনি। কাউন্টারে যারা রয়েছেন, তারাও নিশ্চিত বলতে পারছে না কখন বাস ছাড়বে।’’

অফিসগামী যাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, ‘‘আমার বাড়ি পটুয়াখালীতে। বরিশালে একটি অফিসে চাকরি করি। সকাল থেকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও বাস না পেয়ে এখন মোটরসাইকেল যাচ্ছি।’’

পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার বলেন, ‘‘বাস ভাঙচুরের বিষয়ে মঙ্গলবার বিভাগীয় পর্যায়ের বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, কোনো সমাধান হয়নি। তাই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ