অবৈধ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা নয়: পুতিন
Published: 29th, January 2025 GMT
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনা সম্ভব তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কোন আলোচনা নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘অবৈধ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষ্য, সামরিক আইনের সময়ই প্রেসিডেন্ট পদে জেলেনস্কির মেয়াদ ফুরিয়েছে।
ইউক্রেনে প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে উভয় পক্ষকে চাপ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ বন্ধে একটি ‘চুক্তিতে’ পৌঁছাতে আলোচনা করতে চান জেলেনস্কি। খবর: এএফপি
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পুতিন বলেন, ‘যদি জেলেনস্কি আলোচনায় অংশ নিতে চান, তাহলে আমি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য মানুষ দেব।’
পুতিন আরও বলেন, ‘যদি আলোচনায় বসার ও একটি আপসের পথ খুঁজে বের করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে যে কেউ আলোচনায় নেতৃত্ব দিন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের জন্য যা উপযুক্ত, যা আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, আমরা সেটার চেষ্টা করব।’
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইউক্রেনে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও এরপরও সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
রুশ কর্মকর্তারা সোমবার বলেছেন, ট্রাম্পের দলের পক্ষ থেকে কেউই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে যোগাযোগ করেননি। তবে উভয় পক্ষই একটি বৈঠকের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে যেকোনো শান্তি আলোচনায় কিয়েভকে বাইরে রাখার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। দেশটি অভিযোগ করেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ‘কৌশলী আচরণ’ করতে চাইছেন পুতিন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ