ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনা সম্ভব তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কোন আলোচনা নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘অবৈধ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষ্য, সামরিক আইনের সময়ই প্রেসিডেন্ট পদে জেলেনস্কির মেয়াদ ফুরিয়েছে।

ইউক্রেনে প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে উভয় পক্ষকে চাপ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ বন্ধে একটি ‘চুক্তিতে’ পৌঁছাতে আলোচনা করতে চান জেলেনস্কি। খবর: এএফপি

এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পুতিন বলেন, ‘যদি জেলেনস্কি আলোচনায় অংশ নিতে চান, তাহলে আমি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য মানুষ দেব।’

পুতিন আরও বলেন, ‘যদি আলোচনায় বসার ও একটি আপসের পথ খুঁজে বের করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে যে কেউ আলোচনায় নেতৃত্ব দিন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের জন্য যা উপযুক্ত, যা আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, আমরা সেটার চেষ্টা করব।’

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইউক্রেনে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও এরপরও সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

রুশ কর্মকর্তারা সোমবার বলেছেন, ট্রাম্পের দলের পক্ষ থেকে কেউই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে যোগাযোগ করেননি। তবে উভয় পক্ষই একটি বৈঠকের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে যেকোনো শান্তি আলোচনায় কিয়েভকে বাইরে রাখার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। দেশটি অভিযোগ করেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ‘কৌশলী আচরণ’ করতে চাইছেন পুতিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ